অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চশিক্ষার সুযোগ বাড়াতে কাজ করবে স্টাডি ডক্টর ও ইউনিলিংক

মালয়েশিয়ায় অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চশিক্ষার সুযোগ বাড়াতে একসঙ্গে কাজ করবে দ্যা স্টাডি ডক্টর ও ইউনিলিংক গ্লোবাল সল্যুশন লিমিটেড। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় কুয়ালালামপুরের বুকিত বিনতাংয়ে ভিআইপি পিঠাঘর রেস্টুরেন্টে এক অনুষ্ঠানে দ্যা স্টাডি ডক্টর ও ইউনিলিংক গ্লোবাল সল্যুশনের উদ্যোক্তারা এ তথ্য জানান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দ্যা স্টাডি ডক্টর-এর ফাউন্ডার বশির ইবনে জাফর, ইউনিলিংক গ্লোবাল সল্যুশনের ফাউন্ডার অ্যান্ড সিইও অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী নাজমুল হাসান ও বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী সাজ্জাদ হোসেন আশিক।
আগামী ৫ বছরের জন্য অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চশিক্ষা ও ক্যারিয়ারের সুযোগ বৃদ্ধিতে একসঙ্গে কাজ করবে উভয় প্রতিষ্ঠান। এতে করে মালয়েশিয়া থেকে উচ্চশিক্ষা সম্পন্নকারী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা দ্যা স্টাডি ডক্টরের মাধ্যমে সহজেই অস্ট্রেলিয়ায় আবেদনের সুযোগ পাবেন। ক্রেডিট ট্রান্সফারে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরারও তাদের বাকি পড়াশোনা অস্ট্রেলিয়ায় স্থানান্তরিত করার সুযোগ পাবেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্যে বশির ইবনে জাফর বলেন, ‘দ্যা স্টাডি ডক্টর বিগত দিনগুলোতে শুধু মালয়েশিয়ায় উচ্চশিক্ষা ও ক্যারিয়ার নিয়ে অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে কাজ করে এসেছে। এখন নতুন এই উদ্যোগের মধ্যদিয়ে আরও ব্যাপকভাবে শিক্ষার্থীদের জন্য কাজের ক্ষেত্র তৈরি হলো। যা থেকে শিক্ষার্থীরা নিঃসন্দেহে নতুন কিছু পেতে যাচ্ছে। তাছাড়া ইউনিলিংক অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চশিক্ষার একটি বৃহৎ ও পরিপক্ব প্লাটফর্ম এবং তারা আমাদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় আমরা শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন স্বপ্নের দিকে একধাপ এগিয়ে এলাম।’
অপরদিকে ইউনিলিংক গ্লোবাল সল্যুশনের সিইও নাজমুল হাসান বলেন, ‘দ্যা স্টাডি ডক্টরের সঙ্গে একসঙ্গে কাজের সুযোগ তৈরির বিষয়টি সবার জন্যই আনন্দের ও আশা জাগানিয়া। কারণ ইতোপূর্বে দ্যা স্টাডি ডক্টর মালয়েশিয়ায় সফলতার সঙ্গে কাজ করেছে। সে দিকটি এখন আমাদের ইউনিলিংকের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার ফলে আমরাও আরও বড় পরিসরে তাদের জন্য কাজের সুযোগ তৈরি করে দিতে অবদান রাখতে চলেছি। এটি অত্যন্ত গর্বের ও শিক্ষার্থীদের জন্যও আনন্দের।’
অনুষ্ঠানে ইউনিলিংকের বিগত দিনগুলোর কার্যক্রম তুলে ধরে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সাজ্জাদ হোসেন আশিক বলেন, ‘কেমন করে তারা একজন অভিভাবকের মতো শিক্ষার্থীদের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সাপোর্ট দিয়ে পাশে থাকেন। তাদের অ্যাডমিশন, ভিসা প্রসেস থেকে শুরু করে অ্যাকোমোডেশানসহ যাবতীয় কার্যাদি তারা সার্ভিস চার্জ ছাড়াই দিয়ে থাকে।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত দ্যা স্টাডি ডক্টরের মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় আসা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের কৃতজ্ঞতা ও অভিব্যক্তি প্রকাশ করে নানান দিক নিয়ে বক্তব্য রাখেন।