মিস আর্থ মালয়েশিয়ার ২০২০ এর বিজয়ী হলেন ডা. নিশা
ডা. নিশা থায়ানান্থন ৮০ টি দেশের প্রতিযোগীদের বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতা করবেন মালয়েশিযার প্রতিনিধি হিসেবে যা মিস আর্থ এর খেতাব অর্জনের জন্য পরবর্তী বছর মিস আর্থ ২০২১ ফিলিপাইনে অনুষ্ঠিত হবে।তিনি পুত্রজায়া হাসপাতালের একজন চিকিৎসক।
গত ৬ সেপ্টেম্বর কুয়ালালামপুরের কুইল মলে গত বছরের মিস আর্থ বিজয়ী কাজল কেউর এই বছরের বিজয়ী হাস্যোজ্জ্বল ২৮ বছর বয়সী নিশা থায়ানান্থন মাথায় বিজয়ের মুকুট পরিয়ে দেন।
ডা. নিশা থায়ানান্থন বলেন ,আমি এই সুযোগটি পাওয়ার জন্য খুবই কৃতজ্ঞ কারণ এটা আমার কাজের দুর্দান্ত প্লাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে এবং আমি কাজের অনুমোদন পাবো। বিশেষ করে আমি জীবানু বিয়োজ্য প্যাড নির্মাণ করে পরিবেশকে সুরক্ষিত রাখার ব্যবস্থ্যা করতে পারব।’
মালয়েশিয়ার এক সংবাদ মার্ধমের সাক্ষাৎকারে ডাঃ নিশা বলেছিলেন,অবশ্যই আমি খুশি কারণ একজন ডাক্তার হয়ে আমি সমারোহের সাথে আমার স্বপ্ন পূরণের দিকে যেতে পারছি; তবে এটা বেশ কঠিন মনে হয়েছিল কিন্ত আমি উদ্দ্যমের সাথে আমার সকল উৎসাহের বিষয়গুলো নিয়ে জীবনের কাজের পথে এগিয়ে গিয়েছি।’
ডা. নিশা সবসময়ই বিউটি প্যাজেন্টের প্রতি আগ্রহী এবং এর আগে বেশ কয়েকটি প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন। তিনি সিংগাই সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা ২০১৫ তে মুকুট জয় করেছিলেন , মিস মালয়েশিয়া ট্যুরিজম ২০১৫ তে চুড়ান্ত তালিকায় ছিলেন এবং গত বছর মিস ওয়ার্ল্ড মালয়েশিয়া ২০১৯ এ শীর্ষ ৬ এ তালিকাভুক্ত হয়েছিলেন।
একজন আগ্রহী প্রকৃতিপ্রেমী হয়ে, নিশা প্রকৃতির সুরক্ষার উপর গুরুত্ব দিয়ে উদ্ভিজ্জ উপাদান দিয়ে জীবানুবিয়োজ্য স্যানিটারি প্যাড নির্মাণের প্রকল্প নিয়েছে।কাজটি ভালোভাবে করার জন্য পার্টুবুহান পেলিন্ডুং খাজানাহ আলম (পেকা)মালয়েশিয়ানের সাথে একত্রে কাজ করছেন।
ডা. নিশা মালয়েশিয়া এই প্রথমবার বায়ডেগ্রাডেবল প্যাডের সাথে কাজ করছে । এবং সকল স্যানিটারি প্যাডগুলো পুনঃব্যবহার যোগ্য করতে পারা যায় না বা জীবানুমুক্ত করা হয় না।তাদের বায়োডেগ্রেড করা হয় না এবং প্রায় ৮০০-১০০ বছর এভাবে থাকে যার জন্য আমি দুঃখিত হই এবং পরিবেশে ধ্বংসের দিকে যায় ।
‘
এভাবে তিনি বায়ডেগ্রেড করার ধারণাটি নিয়ে আসছি যা ১৫ দিনের ভিতরে সম্পূর্ণ জীবানু নষ্ট করবে। তাই আপনি এখন ১৫ দিন এর সাথে ৮০০ বছর বা ১০০০ বছর এর তুলনা করলে পার্থক্য বুঝতে পারবেন এবং কিভাবে ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য সুস্থ পরিবেশ যোগান দিতে সাহায্য করতে পারছি সেটাও বুঝতে পারবেন।’
এই বছরের শুরুতে কোভিড-১৯ মহামারির সময়ে ডাঃ নিশা পুত্রজায়া হাসপাতালে করোনার রোগীদের ফ্রন্টিয়ার ডাক্তার হিসেবে সেবা দিচ্ছিলেন। তিনি সেবা ও মানবিক সহায়তামূলক কাজে নিয়োজিত আছেন এবং বর্তমানে কুয়ালালামপুর ও সেরেমবানে বিভিন্ন স্থানে ভাত,রান্নার তেল ,দুধ প্রভৃতির মত দরকারি জিনিসগুলো অভাবি এবং কম ভাগ্যবান মানুষদের বিতরণ করছেন।
মিস আর্থ মালয়েশিয়ার জাতীয় পরিচালক নিস্কন সিম বলেছিলেন, যে শতাধিক আশাবাদী মানুষের একটা পুল থেকে নিশাকে নির্বাচিত করা হয়েছে।
‘প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ,ভারসাম্য, বুদ্ধিমত্তা, পরিবেশ সচেতনতা ও সামাজিক দায়িত্ব্যবোধ এসব কিছুর একটা মিলিত প্যাকেজ নিশার আছে যা মিস আর্থ খুঁজছে। সে কঠোর পরিশ্রম ও শক্ত পায়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে আগ্রহী। এবং আমরা এবার দেশের জন্য সেরা ১৫ জন পাব বলে আশা রাখি যা ২০০১ সাল পর্যন্ত আকর্ষণীয় ভাবে পাওয়া যায়নি।