লকডাউনে অসহায় প্রবাসীদের পাশে এগিয়ে এসেছে মাইফান্ড এ্যাকশন

করোনার প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় টানা লকডাউনে সমস্যায় থাকা অভিবাসীদের সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছে মাইফান্ডএ্যাকশন নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান।
সম্প্রতি মালয়েশিয়ার বিভিন্ন স্থানে কর্মহীন হয়ে পড়া শ্রমিক ও সমস্যায় থাকা শিক্ষার্থীদের খুঁজে বের করে খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে স্থানীয় এ সংস্থাটি। "বক্স অব হ্যাপিনেস" বা খুশির বক্সে'র এ কার্যক্রম ৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে এখনও চলছে।
এরই মধ্যে এ সহায়তা পেয়েছেন অর্ধ শতাধিক বাংলাদেশি ছাত্র ও শ্রমিক। সংস্থাটি মালেয়শিয়ার কুয়ালালামপুর ও সেলাঙ্গর প্রদেশের বিভিন্ন জায়গায় সহায়তা দিয়েছে। "বক্স অব হ্যাপিনেস" বা খুশির বক্সে ১৫০ রিঙ্গিত সমমূল্যের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী রয়েছে। পণ্য তালিকায় আছে চাল, তেল, আটা, চিনি, লবণ, কন্ডেন্সড মিল্ক, মাল্ট চকলেট, চিলি ও সয়া সস, ডারমাইসেলি, সারডাইন ও স্মাইল প্যাক।

খুশির বক্স বিতরণে অংশগ্রহণ করেন সংস্থাটির অপারেশন বিভাগের সেক্রেটারি মোহাম্মদ আযরি আব্দুল জলিল, ইউনিভার্সিটি পুত্রা মালেয়শিয়ায় (ইউপিএম) অধ্যয়নরত বাংলাদেশি পোস্টগ্রাজুয়েট ভলান্টিয়ার মোহাম্মদ জোহরুল ইসলাম ও আব্দুল্লাহ আল ফাহাদ, এসোমুল্লাহ বিন লোকমান, মোহাম্মদ মুসাব ও ইউপিএম আন্তর্জাতিক ছাত্র সংগঠনের সভাপতি মোহান্নাদ সালেহ।
খুশির বক্স বিতরণ করায় বাংলাদেশি ছাত্র-শ্রমিকেরা সংস্থাটিকে ধন্যবাদ জানান। সংস্থাটির বাংলাদেশি ভলান্টিয়ার মোহাম্মদ জোহরুল ইসলাম বলেন, মাইফান্ডএ্যাকশন এর ধারাবাহিক বিভিন্ন প্রজেক্ট এর অংশ হিসাবেই এই জরুরি খুশির বক্স বিতরণ।
সংস্থাটির অপারেশন বিভাগের সেক্রেটারি মোহাম্মদ আযরি আব্দুল জলিল বলেন, আপাত দৃষ্টিতে খাদ্য বিতরণ মনে হলেও তা নয়। বরং জাতি, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার কাছে হাসি উপহার দেয়াই আমাদের মূল লক্ষ্য।