মালয়েশিয়ায় একদিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সর্বোচ্চ রেকর্ড,দুশ্চিন্তায় প্রবাসীরা

মালয়েশিয়ায় করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারির পর পরই বেড়েছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। কিছুতেই করোনা বিস্তার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না মালয়েশিয়া সরকার।
মালয়েশিয়ায় আজ অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে নতুন করে ৫৭২৫ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হয়েছে। যা মালয়েশিয়া আক্রান্তের সংখ্যা সর্বোচ্চ রেকর্ড। নতুন করে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা এখন দুই লাখ ৩৯ হাজার ৩৩ জন। এ পর্যন্ত ৭৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।নতুন করে সুস্থ্য হয়েছেন ৩৪২৩ জন। এই পর্যন্ত সর্বমোট সুস্থ্য হয়েছেন এক লাখ ৫৭ হাজার ৭২২ জন।
আজ শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি ) দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক ড. নূর হিশাম এ তথ্য প্রকাশ করেছে।

দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫৭২৫ জনের মধ্যে ২২৮ জন সাবাহ প্রদেশের, সারওয়াক ১৭৯ জন, কেদাহ রাজ্যের ১২৫ জন, পেনাং ৯৯ জন , জোহর ৬৮৪ জন । অন্যদিকে সেলাঙ্গরে ৩১২৬ জন, কুয়ালালামপুরে ৬৮৭ জন, পুত্রাজায়া ১৬ জন, পেরাক ৭৩ জন , নেগারি সেম্বিলানে ৬৯ জন ,মেলাকা ৭৪ জন, কেলান্তান ৯৩ জন ,তেরেংগানু ১৩৭ জন ,পাহাং ৬৭ জন , পারলিস ০৩ জন,লাবুয়ান ০৫ জন আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে মালয়েশিয়ায় কোভিড -১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতি মোকাবিলায় তৃতীয় দফায় ২ সপ্তাহের জন্য মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডার (এমসিও) বা লকডাউন বর্ধিত করা হয়েছে। এর আগে গত ১৩ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হওয়া এমসিও ২৬ জানুয়ারি শেষ হওয়ার কথা থাকলেও টানা আরো ১৪ দিন বাড়ানো হয়েছে।সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় মালয়েশিয়ায় লকডাউন ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়লো। কিন্তু গত কয়েক দিন আগে মালয়েশিয়া পত্রপত্রিকা জানা যায় ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত লকডাউন বাড়াবে না
মালয়েশিয়া সরকার।এই খবর যখন প্রকাশ পায় তখন প্রবাসীরা কিছুটা স্বস্থির নিঃস্বাস পায়। কিন্তু আজকের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সর্বোচ্চ রেকর্ড মালয়েশিয়া প্রবাসীদের দুঃচিন্তায় পেলে দেয়।
এ পরিস্থিতি প্রবাসী বাংলাদেশীদের অনেকেই কাজ হারিয়ে একপ্রকার গৃহবন্দী হয়ে পড়েছেন। টানা লকডাউনে সাধারণ প্রবাসী কর্মীদের ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে। বিভিন্ন খাত বন্ধ থাকায় আবারও প্রবাসীরা অর্থনৈতিক চাপে মুখে পড়ছে বলে জানা গেছে।একের পর এক লক ডাউন যেমন মালয়েশিয়া অর্থনীতি ধস নেমেছে প্রবাসীরা হতাশায় আর দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছে।