মালয়েশিয়া প্রবাসীদের পাশে থাকতে চায় বাংলাদেশ হাইকমিশন

মালয়েশিয়া প্রবাসীদের সেবায় হাইকমিশন সবসময় সচেষ্ট, এ সেবার গতি আরো বাড়াতে কর্মকর্তারা সার্বক্ষনিক কাজ করছেন বলে মন্তব্য করেছেন নব নিযুক্ত হাইকমিশনার মো : শামিম আহসান। দেশটিতে কর্মরত প্রবাসী সাংবাদিকদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় এর সময় তিনি এ মন্তব্য করেন।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (৩ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টায় হাইকমিশনের সভাকক্ষে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান বলেন, মালয়েশিয়ায় বিপুল পরিমান প্রবাসী বাংলাদেশী রয়েছে, তাদের সমস্যাও কম নয়। আমরা এসব প্রবাসীর সমস্যা সমাধানে বদ্ধ পরিকর। পাশাপাশি প্রবাসীদের সুবিধার্তে ও দেশের ভাবমূর্তি উজ্জল করতে মালয়েশিয়ায় কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীদেরকও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান প্রবাসী বাংলাদেশিরা বিদেশে কাজ করে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এসময় প্রবাসীদের জন্য দূতাবাসের নতুন পাসপোর্ট শাখায় ই-পাসপোর্টের সব ধরনের কার্যক্রম এরই মধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে এখন শুধুমাত্র উদ্বোধনের অপেক্ষায় আছে বলে মন্তব্য করেন হাইকমিশনের পাসপোর্ট ও ভিসা শাখার প্রথম সচিব মিয় মোহাম্মদ কিয়ামউদ্দিন।
মতবিনিময় সভায় সাংবাদিক নেতারা হাইকমিশনের সঙ্গে প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিভিন্ন সমস্যা ও এর সমাধান নিয়ে আলোচনা করেন। আলোচনার উল্লেখযোগ্য বিষয়ের মধ্যে ছিল- কলিং ভিসায় এসে কাজ না পাওয়া কর্মী'র মালিকদের সঙ্গে কথা বলা, প্রবাসীদের হাতে দ্রুততম সময়ে পাসপোর্ট পৌঁছে দেয়া, এনআইডি কার্ড করা, বিভিন্নভাবে মালয়েশিয়া অনুপ্রবেশকারীদের সঠিক তথ্য উপাত্ত যাচাইয়ের মাধ্যমে নতুন করে পাসপোর্ট দেয়া, মালয়েশিয়ার বিভিন্ন প্রদেশে স্থায়ী কনস্যুলার সেবা প্রদান, শ্রমিক ভিসাধারী প্রবাসী বাংলাদেশিদের সিঙ্গেল এন্ট্রি পাস থেকে মাল্টিপল পাস করা, জেলে আটকে থাকা প্রবাসীদের সাজা শেষে দ্রুত নিজ দেশে ফেরত পাঠানোসহ অন্যান্য বিষয়।
এছাড়াও রিক্যালিব্রেশন ২.০ প্রক্রিয়ায় ২০২৩ সালে যারা অবৈধ হয়েছে তাদের বৈধতার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বসে সমাধানের পথ খোঁজা, বেতন-ভাতা বঞ্চিতদের আইনি সহায়তা দেয়া, অসাধু ভিসা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ, শ্রমিকদের বিভিন্ন সমস্যা ও তার সমাধানে দূতাবাসের ভূমিকা গ্রহণ ও প্রবাসীদের অধিকার রক্ষায় হাইকমিশনকে আরও বেশি সচেতন হওয়াসহ নানা বিষয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়ার অনুরোধ জানান সাংবাদিক প্রতিনিধিরা।
পরে প্রবাসীদের পাসপোর্ট সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন উপস্থিত দূতাবাসের প্রথম সচিব (পাসপোর্ট ও ভিসা) মিয়া মো. কিয়াম উদ্দিন।