ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের আকস্মিক পরিদর্শন,তাক্ষণিক সহায়তা প্রদান
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতক বিমানবন্দরে আকস্মিক পরিদর্শনে গিয়েছিলেন প্রবাসী ও বৈদেশিক কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ওয়েজআর্নার্স কল্যান বোর্ডের মহাপরিচালক, অতিরিক্ত সচিব মোঃ হামিদুর রহমান।
গত ১৭ সেপ্টম্বর,বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে বিমানবন্দরে যান ডিজি। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন কল্যান বোর্ডের পরিচালক বেগম মুশাররাত জেবীনসহ আরও পাঁচ জন কর্মকর্তা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
মূলত বিমানবন্দরে প্রবাসী কর্মীদের সুযোগ-সুবিধা এবং তাদের জন্য ঠিকভাবে ব্যবস্থাপনা রয়েছে কিনা সেটা পর্যবেক্ষণ করতেই এই আকস্মিক পরিদর্শন করেন এই কর্মকর্তাবৃন্দ।সেখানে যাওয়ার পর জানা যায়, সকালে ওমান থেকে একটি ফ্লাইটে ঢাকায় এসেছেন একজন নারী। তার নাম সুমিত্রা মুন্ডা। বিষয়টি জানতে পেরে ডিজি ওই নারীর সঙ্গে কথা বলেন।নাম সুমিত্রা ,বাড়ি সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার শ্রিফলকাঠি গ্রামে। বিমানবন্দরে তাকে অনেক ক্লান্ত ও বিমর্ষ দেখা যাচ্ছিল।তারা কথা বলে জানতে পারলো ওমান থেকে তাকে দেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। তাকে নিতে তার গ্রামের বাড়ি থেকে কোনো লোকজনও আসেনি।
এ সময় সুমিত্রার জন্য খাবার ও বাড়িতে যাওয়া বাবদ ৫ হাজার টাকা দেন ডিজি।পরে সুমিত্রাকে ব্র্যাকের সেফ হোমে রাখা হয়।সেখান থেকে শুক্রবার সকাল ৮টায় তার পরিবারের লোকজন আসলে তাদের হাতে সুমিত্রাকে নিরাপদে হস্তান্তর করা হয়।
সুমিত্রা এসময় অত্যান্ত আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, কল্যান বোর্ড আমাদের জন্য এতকিছু করে, তার জানা ছিলো না। তিনি এই সুবিধার জন্য সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতার কথা জানান।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে ওয়েজ আর্নার্স কল্যান বোর্ড আইনের মাধ্যমে একটি সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান হিসাবে এই বোর্ডের যাত্রা শুরু হয়। নিয়ন্ত্রণাধীন মন্ত্রনালয় প্রবাসীকল্যান ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মরত বাংলাদেশী কর্মীদের আর্থিক ও প্রশাসনিক কল্যান সংক্রান্ত সকল সুবিধা দিয়ে আসছে। বিদেশে মৃত বাংলাদেশী কর্মীর লাশ পরিবহসহ অসুস্থ কর্মী দেশে ফিরলে দেশের তিনটি বিমান বন্দরে অবস্থিত এই প্রবাসীকল্যান ডেস্কসমূহ অতি দ্রুত তাঁদের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা গ্রহন করে থাকে।