বিদেশে টাকা পাচারকারীদের মধ্যে সরকারি কর্মচারী বেশি : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

কানাডায় অর্থ পাচারকারীদের তালিকায় রাজনীতিবিদদের চেয়ে সরকারি কর্মচারীদের সংখ্যা বেশি বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। বিদেশে অবৈধভাবে অর্থ পাচারকারীদের তথ্য নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহের পর তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আজ বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি আয়োজিত মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বিদেশে অর্থপাচারের তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহের চেষ্টা চলছে জানিয়ে আবদুল মোমেন বলেন, প্রাথমিকভাবে কানাডায় অর্থপাচারের কিছু সত্যতা পাওয়া গেছে। এই তালিকায় রাজনীতিবিদদের সংখ্যা বেশি হবে এমন ধারণা থাকলেও প্রকৃত চিত্র ভিন্ন। ড. মোমেন জানান, কানাডায় সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের পরিমাণ বেশি। আর রাজনীতিবিদদের মধ্যে আছেন চারজন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে এম আবদুল মোমেন বলেন, ‘কানাডা, আমার ধারণা ছিল, রাজনীতিবিদদের সংখ্যা বেশি হবে। কিন্তু আমার কাছে যে তথ্য এসেছে, সংখ্যার দিক থেকে আমাদের অনেক সরকারি কর্মচারীদের বাড়িঘর ওখানে আছে। ওনাদের ছেলেমেয়ে ওখানে থাকে। রাজনীতিবিদ, আমার কাছে ২৮টি কেস আছে। এর মধ্যে রাজনীতিবিদ হলেন চারজন, আর কিছু আছেন আমাদের ব্যবসায়ীরা, গার্মেন্টসের ব্যবসায়ী। শুধু কানাডা নয়, মালয়েশিয়াতেও একই অবস্থা। ইলিগ্যালি যদি নিয়ে যায়, তাহলে আমাদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে আশা করি। উই আর ওয়ার্কিং অন ইট।’
তবে অর্থপাচারের তথ্য পাওয়া খুব কঠিন উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিভিন্ন মিডিয়ায় যে তথ্য বের হয়। হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হচ্ছে। আসলে সংখ্যাটি তত নয়।’ তিনি বলেন, ‘এর জন্য বিদেশি সরকারও কিছুটা দায়ী। সুইজারল্যান্ডে কে ব্যাংকে টাকা রাখলো, সেই তথ্য আমাদের দেয় না। তারা ট্রান্সপারেন্সির কথা বলে, কিন্তু যদি বলি কার কার টাকা আছে, সেই তথ্য দাও, তখন তারা দেয় না। এটি একটি ডাবল স্ট্যান্ডার্ড।’
আবদুল মোমেন বলেন, কেউ দেশের বিদ্যমান আইন মেনে বিদেশে টাকা পাঠালে ঠিক আছে, তবে যদি তারা অবৈধভাবে অর্থ পাঠিয়ে থাকে তবে সরকার আইনের মাধ্যমে তা ফিরিয়ে আনতে পারে। আর অনেক আগে থেকেই এটা হয়ে আসছে।
যারা বিদেশে অর্থপাচার করেছেন তাদেরকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান মন্ত্রী।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আয়োজিত ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে ডিআরইউ সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ ও সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ চৌধুরী বক্তব্য দেন।