মানবতার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করল ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড

মানবতার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে ঝামেলাবিহীন দীর্ঘস্থায়ী প্রক্রিয়া থেকে বেরিয়ে অনলাইনে ভিডিওকলে অসুস্থতা শনাক্ত করে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড।
সরকারি কর্মকাণ্ডে সহজ প্রক্রিয়াকরণে সরাসরি সেবাপ্রাপ্তি এটাই প্রথম বলেও জানিয়েছে অনুদান প্রদানসংক্রান্ত কমিটি।
রবিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি প্রবাসী কল্যাণ ভবনে আহত, অসুস্থ ও শারীরিকভাবে অক্ষম হয়ে প্রবাস হতে দেশে ফেরত কর্মীদের চিকিৎসার্থে ওয়েজ আনার্স কল্যাণ বোর্ড থেকে আর্থিক অনুদান প্রদানসংক্রান্ত গঠিত কমিটির ১১৭তম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ভিডিওকলের মাধ্যমে ২০ জন অসুস্থ ও শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যক্তিকে যাচাই করে আর্থিক সহায়তার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে সরাসরি সেবা প্রাপ্তি বিশেষত আর্থিক সহায়তা পাওয়াটা অনেক কঠিন- এই প্রচলিত ধারণাকে শতভাগ মিথ্যা প্রমাণ করে দিন দিন সেবা ও কল্যাণমূলক কাজের মাধ্যমে বাঞ্চনার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছে ওয়েজ অনার্স কল্যাণ বোর্ড।
ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের পরিচালক (অর্থ ও কল্যাণ) সহায়তা কমিটির আহ্বায়ক শোয়াইব আহমাদ খান বলেন, আমরা অসুস্থ প্রবাসী কর্মীকে সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা পর্যন্ত অনুদান দিই। এতদিন তারা আবেদন করতো, এটা আমরা লোকাল ইনকোয়ারিতে পেতাম।
কিন্তু আমরা এখন দেখলাম, তারা এতদিন বিদেশ ছিল তাদের অনেকের ইমো আছে, হোয়াটসঅ্যাপ আছে, এখন আমরা সরাসরি তাদের সঙ্গে কথা বলি। তাদের ডকুমেন্ট যাচাই করে সরাসরি তাদের সহায়তা প্রদান করছি।
কমিটির আহ্বায়ক বলেন, একটা অসুস্থ রোগী যদি হাসপাতালে থাকে তাহলে ইনকোয়ারির মধ্যে দিয়ে গেলে একটা দীর্ঘস্থায়ী প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে তাকে যেতে হয়। কিন্তু এখন হাসপাতালে ভর্তি থাকলেও বা অসুস্থ থাকলেও আবেদন করার খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তারা আর্থিক সহায়তাটা পেয়ে যায়। আমরা ভিডিওকলের মাধ্যমে এখন খুব সহজেই তাদের অসুস্থ ও শারীরিক অক্ষমতা যাচাই করে দ্রুততম সময়ে অনুদান পাঠিয়ে দিই। এতদিন আমাদের এই কার্যক্রমটা অফলাইনে হতো, এখন এই কাজটাই আমরা অনলাইনে শুরু করেছি।
আগের দীর্ঘতম প্রসেস সম্পর্কে তিনি বলেন, আগে কারো কোনো সমস্যা হলে আবেদন করতো। এরপর বিভিন্ন মাধ্যমে সে আবেদন আমাদের কাছে আসতো। তারপর আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য আবার সেগুলো পাঠাতাম। তারা আবার পরীক্ষা-নিরীক্ষার করে রিপোর্ট দিতো। তারপর আমরা এগুলো যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত নিতাম এবং আর্থিক সহায়তা প্রদানেও নানা জটিলতা সৃষ্টি হতো।
শোয়াইব আহমাদ খান বলেন, আর এখন তারা অনলাইনে আবেদন করছে। তারপর আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে একটা নির্দিষ্ট সময় দিচ্ছি এবং সেই সময়ে আমরা তাদের ভিডিওকলের মাধ্যমে অসুস্থতা যাচাই ও শনাক্ত করে ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠিয়ে দিচ্ছি। ফলে সময় বাঁচছে, তাড়াতাড়ি ঝামেলাবিহীন সহজে সেবাটা পাচ্ছে। রোগটা শনাক্ত করে আমাদের এই বোর্ডের ডাক্তারদের মাধ্যমে চিকিৎসা জন্য নানা পরামর্শও দিচ্ছি।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রবাসফেরত কর্মীদের চিকিৎসার্থে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড হতে আর্থিক অনুদান প্রদানসংক্রান্ত কমিটির পরিচালক পরিচালক (প্রশাসন ও উন্নয়ন) মুশাররাত জেবীন, পরিচালক (আইআরপি) আরিফ আহমেদ খান, উপ-পরিচালক শরিফুল ইসলাম ও ডা. লুবনা শারমিন।