মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত

যথাযোগ্য মর্যাদায় মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৫ উদ্যাপিত হয়েছে। বুধবার (২৬ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান। পতাকা উত্তোলনের সময় হাই কমিশনারের সহধর্মিণী পেন্ডোরা চৌধুরীসহ মালয়েশিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশ কমিউনিটির বিপুল সংখ্যক রাজনৈতিক ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা, সাংবাদিক এবং হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। পতাকা উত্তোলন শেষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনার শুরুতে মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই-আগস্ট এর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের বীর শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বাণী পাঠ করা হয় এবং মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
হাইকমিশনার তার বক্তৃতায় শুরুতে ৭১’র মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং ২৪’র জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের সব শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং বীর যোদ্ধাদের অবদান কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন।
মহান স্বাধীনতা দিবসে প্রবাসী বাংলাদেশিদের আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ যে আকাঙ্ক্ষা নিয়ে সংঘটিত হয়েছিল তার পরিপূর্ণ রূপ দিতে ২৪ এর জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থান। ৭১ ও ২৪ এর শহীদ ও যোদ্ধাদের আকাঙ্ক্ষাকে পরিপূর্ণ রূপ দিতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে আহ্বান জানান তিনি।
শামীম আহসান বলেন, নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার গুরুত্বপূর্ণ খাতে পরিবর্তনমূলক সংস্কার আনার মাধ্যমে সুশাসন নিশ্চিত করে বাংলাদেশ পুনর্গঠনের জন্য দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক হাইকমিশন আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ-মালয়েশিয়ার মধ্যে চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে উল্লেখ করে হাইকমিশনার বলেন, শ্রমবাজারের পাশাপাশি বাংলাদেশ-মালয়েশিয়ার মধ্যে প্রায় চার বিলিয়ন ডলারের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য হয়ে থাকে।
জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের পর প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার শপথের পরপরই মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ড. আনোয়ার ইব্রাহীম প্রধান উপদেষ্টাকে ফোন করে শুভেচ্ছা জানান এবং প্রথম সরকার প্রধান হিসেবে বাংলাদেশ সফর করেন। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস নিকট ভবিষ্যতে মালয়েশিয়া সফর করবেন বলে হাই কমিশনার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি আরও বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন প্রবাসীবান্ধব এই সরকার প্রবাসীদের কল্যাণে বহুমাত্রিক কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। বাংলাদেশ হাইকমিশন প্রবাসীদের চাহিত সেবা যেমন পাসপোর্ট-ভিসা, কনসুলার সেবা, কর্মসংস্থানসহ কল্যাণমূলক সব প্রকার সেবা প্রদানে সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে।
আলোচনা সভায় মালয়েশিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশ কমিউনিটির বিশিষ্ট নেতা এবং হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।