মালয়েশিয়া প্রবাসীদের মাইন্ড ট্রেইনিং করবে সাবিত ইন্টারন্যাশনাল

জীবনে সফলতার জন্য প্রয়োজন সঠিক পরিকল্পনা, অধ্যাবসায় এবং ‘মনের শক্তি’! Train your brain for maximum success এই স্লোগানে, প্রবাসীদের ব্যক্তিগত ও কর্মজীবনে হতাশা ও অনিশ্চিয়তা দূর করে তাদের মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়ন করে সাফল্য অর্জনের লক্ষ্যে মাইন্ড ট্রেইনিং করবে সাবিত ইন্টারন্যাশনাল।
মঙ্গলবার (২২ অগাস্ট) কুয়ালালামপুরের বুকিতবিনতাং-এ এক সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটিই বলেন দেশ ও বিদেশে জনপ্রিয় মাইন্ড ট্রেইনার সাবিত রায়হান।
সংবাদ সম্মেলন তিনি বলেন, লাখো মানুষকে হতাশামুক্ত করে তাদের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার জন্য সাবিত রায়হান মাইন্ড ট্রেইনিং করিয়ে আসছেন গত অর্ধ যুগেরও বেশি সময় ধরে। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে ভারত ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে মাইন্ড ট্রেইনিংয়ের পর এবার প্রথমবারের মতো মালয়েশিয়ায় প্রবাসীদের জন্য মাইন্ড ট্রেইনিংয়ের উদ্যোগ নিয়েছে সাবিত ইন্টারন্যাশনাল।
সাবিত রায়হান বলেন, বিশ্বের ১৭৬টি দেশে ১৪.৯ মিলিওনেরও বেশি বাংলাদেশী প্রবাসী অবস্থান করছেন। তন্মধ্যে প্রায় এক মিলিয়নেরও বেশি প্রবাসী আছেন মালয়েশিয়ায়, যারা অনেক বড় বড় স্বপ্ন নিয়ে দেশ ছেড়ে আপনজন থেকে হাজার মাইল দূরে একাকী জীবন যুদ্ধ করছেন। কিন্তু এখনও ভালো কিছুই করতে পারেননি। আরো নানাবিধ সমস্যায় অতিমাত্রায় হতাশার কারণে স্ট্রোক এবং আত্মহত্যার হার বাড়ছে প্রতি দিন।
এ সম্পর্কিত মন ও মাইন্ড-এর সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সহজ সমাধানই সাবিত রায়হানের মূল লক্ষ্য। এতে প্রবাসীদের হতাশা ও অনিশ্চিয়তা যেমন লাঘব হবে, তেমনি করে প্রবাসীদের সার্বিক সফলতায় দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি পাবে।
অপরদিকে অনেক প্রবাসী এমন আছেন যারা ইতোমধ্যেই ক্যারিয়ারে বেশ উন্নতি করছেন এবং আরো উন্নতি করার লক্ষ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর প্রয়োজন অনুভব করছেন। এই উভয়ের জন্য সাবিত ইন্টারন্যাশনাল এক দিনব্যাপী একটি মাইন্ড ট্রেইনিংয়ের উদ্যোগ নিয়েছে, যা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৭ আগস্ট রোববার সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কুয়ালালামপুর জি টাওয়ারের হলরুমে।
সাবিত রায়হান আরো বলেন, শরীর ও মন একইসাথে কাজ করে। স্বাস্থ্যসম্মত খাবার ও শরীরচর্চার সাথে সাথে মনের ইতিবাচক চর্চাও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তাই প্রতিটি ঘরে ঘরে মাইন্ড ট্রেইনিংয়ের পরিবেশ তৈরি করতে আহ্বান জানান এই মাইন্ড ট্রেইনার।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মালয়েশিয়ায় কর্মরত বাংলাদেশী বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ার সাংবাদিকরা।