উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করে শিক্ষার্থীদের দেশে ফেরার আহবান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশের বিপুলসংখ্যক ছাত্রছাত্রী উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে পাড়ি জমায়। এদের বেশিরভাগই দেশে ফেরত আসে না। তাই তারা যাতে দেশে এসে তাদের মেধাকে দেশের স্বার্থে কাজে লাগায় সেদিকে সবাইকে দৃষ্টি দিতে হবে।
শুক্রবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত দুই দিনব্যাপী প্রিমিয়ার ব্যাংক-ফ্যাকড-ক্যাব ৬ষ্ঠ আন্তর্জাতিক শিক্ষা মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যারা উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশ যায় তারা সেখানে তাদের ও দেশের নাম উজ্জ্বল করেছে। তাই বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বাড়ানোতে তাদের অংশীদারিত্বও কম নয়। তিনি এ সময় ছাত্রছাত্রীদের উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করে দেশে ফেরার আহবান জানান।
ফ্যাকড-ক্যাব সাধারণ সম্পাদক গাজী তারেক ইবনে মোহাম্মদের সঞ্চালনায় ও সভাপতি কাজী ফরিদুল হক হ্যাপীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রিমিয়ার ব্যাংকের এডিশনাল এমডি গোলাম আউলিয়া।
বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ এ শিক্ষা মেলা শিক্ষার্থী, বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি, শিক্ষক ও অভিভাবকদের সরাসরি সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করে চলছে। একই ছাদের নিচে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি, স্পট অ্যাডমিশন, শিক্ষা লোন, ভিসা প্রসেসিং, ভর্তির সময়কাল, বসবাসের খরচ, শিক্ষাবৃত্তি, সেশনসহ যাবতীয় তথ্য জানার ব্যবস্থা থাকবে এ মেলায়। দেশের স্বনামধন্য ৪০টি কনসালটেন্সি প্রতিষ্ঠানের উপস্থিতিতে বিশ্বের ৩০০টির বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরা মেলায় অংশগ্রহণ করেন।
মেলায় অংশ নেয়া বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরা ফাউন্ডেশন, স্নাতক, স্নাতকোত্তর এবং পিএইচডি সম্পন্নের যাবতীয় তথ্য শিক্ষার্থীদের কাছে তুলে ধরেন। তারা বর্তমান করোনা মহামারি বাস্তবতায় নিখরচায় উচ্চশিক্ষা পরামর্শ, ভর্তি মূল্যায়ন, টিউশন ফিসের ওপর বৃত্তি, সাশ্রয়ীমূল্যে বিশ্বমানের শিক্ষা গ্রহণের পাশাপাশি প্রবাসে শিক্ষার্থীদের বৈধ কর্মঘণ্টা খরচ করে আয়ের বিষয়ে বিস্তারিত জানার সুযোগ করে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন।
এবারের শিক্ষা মেলা মহান স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি ও বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর প্রতি উৎসর্গ করা হয়েছে। এ মেলার মাধ্যমে উচ্চশিক্ষিত জনগোষ্ঠী তৈরি, বৈদেশিক মুদ্রা আয় ও উন্নত রাষ্ট্রের দিকে অগ্রযাত্রার ২০৪১ সালের সরকারি অঙ্গীকার পূরণে সবার সম্মিলিত প্রয়াসের ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।