পিএইচডি শিক্ষার্থী মার্জিয়া মহুয়ার গানে মুগ্ধ মালয়েশিয়া প্রবাসীরা

ঢাকার মেয়ে মার্জিয়া মহুয়া। পড়াশোনা বেড়ে উঠা ঢাকাতেই। বিবিএ ও এমবিএ শেষ করেছেন দেশের স্বনামধন্য বিদ্যাপীঠ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। পড়াশোনা শেষ করে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ডিপার্টমেন্ট অফ বিজিনেস এডমিনিস্ট্রেশান এ প্রভাষক হিসাবে যোগ দেন। এর ঠিক তিন বছর পর উচ্চশিক্ষার জন্য মহুয়া চলে যান মালয়েশিয়ায়।
বর্তমানে তিনি পুত্রা বিজিনেস স্কুল ইউপিএম একাউন্টিংয়ে পিএইচডি করছেন।এনটিভি প্রবাস তারকা পঞ্চম পর্বের অতিথি হয়ে তার ক্যারিয়ার কথা বলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আঁখি মজুমদার। তার ক্যারিয়ারের কিছু এনটিভি পাঠকদের তুলে ধরা হলো।
মেধাবী ও বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী মহুয়া খুব ছোটবেলা থেকেই গান করতেন। বাবা-মায়ের অনুপ্রেরণায় গানের জগতে আসেন মহুয়া। ছোটবেলা থেকে একের পর এক প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করেন মহুয়া। এরপর চ্যানেল আই সেরাকণ্ঠ ২০০৯ এ অংশগ্রহণ করে সেরা ১২ তে জায়গা করে নেন তিনি।
তারপর ২০১৪ ক্লোজআপ ওয়ান প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন এবং সেরা ২১ এ অবস্থান করেন কিন্তু ফাইনাল পরীক্ষার কারনে প্রতিযোগিতা ছেড়ে আসতে হয় তাকে।

এনটিভি অনলাইনকে মহুয়া জানান,'গানের জগতে আমার সবচেয়ে বড় অর্জন শ্রদ্ধেয় সাবিনা ইয়াসমিন ম্যাম, রুনা লায়লা ম্যাম, আলাউদ্দিন আলী ও সুবীর নন্দী স্যারদের মত গুণী মানুষদের সানিধ্য পাওয়া। বর্তমানে আমার গানের পিছনে সবচেয়ে বড় অবদান আমার হ্যাজবেন্ড এর সহযোগিতা।
তিনি পেশাগত ভাবে ইন্টারন্যাশনাল মার্চেন্ট মেরিন ইঞ্জিনিয়ার হলেও তিনি একজন লিড গিটারিস্ট,মিউজিশিয়ান ,আমার গানের গুরু স্বনামধন্য এবং গুণী নজরুল সংগীতশিল্পী ফেরদৌস আরা। তারই একটা সংগীত সংগঠন 'সুরসপ্ত'কে যুক্ত আছি দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে।

জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন ফেরদৌস আরা আন্টির মতো গুনী একজন শিল্পীর কাছ থেকে গান শিখতে পারা। এছাড়াও আমি দুইবছর মেয়াদী সুরসপ্তক প্রতিষ্ঠান থেকে নজরুন সংগীতের উপর ডিপ্লোমা কোর্স সম্পন্ন করেছি।

বর্তমানে মহুয়া মালয়েশিয়াতে পিএইচডির পাশাপাশি বিএসএউইপিএম সংগঠনের সাথে যুক্ত আছেন এবং এনটিভি মালয়েশিয়ার দর্শক ফোরামের বিভিন্ন প্রোগ্রামে অংশগ্রহন করেছেন। দেশে ফিরে তিনি ইউনিভার্সিটি যোগ দিয়ে গবেষণার পাশাপাশি নজরুল এবং আধুনিক গানে কাজ করতে চান।