নভেম্বরে বিয়ের কথা ছিল সুশান্তের, কান্নায় ভেঙে পড়লেন রিয়া!

বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত আর নেই। ৩৪ বছর বয়সী এ অভিনেতা গতকাল রোববার (১৪ জুন) মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় নিজ বাসভবনে আত্মহত্যা করেন। ঋষি কাপুর ও ইরফান খানের মৃত্যুর পর প্রতিভাবান এ তরুণ অভিনেতার মৃত্যুতে শোকে বিহ্বল বিনোদন অঙ্গন। সুশান্তের মৃতদেহ তাঁর অ্যাপার্টমেন্টে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। তাঁর বাসভবন থেকে কোনো সুইসাইড নোট উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। আজ সুশান্তের শেষকৃত্য হবে মুম্বাইয়ে।
ভারতের বিনোদনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বলিউড বাবলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুশান্ত সিং রাজপুত বিষণ্ণতায় ভুগছিলেন। পরিবার জানিয়েছে, নভেম্বরে বিয়ে করবেন বলে জানিয়েছিলেন সুশান্ত।
ইন্ডিয়া টিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুশান্তের এক তুতো ভাই জানিয়েছেন, নভেম্বরে বিয়ের পরিকল্পনা করেছিলেন অভিনেতা। যদিও কাকে বিয়ে করবেন, সে কথা প্রকাশ করেননি সুশান্ত। কিন্তু তাঁর ভাই জানিয়েছেন, মুম্বাইয়ে ঘটা করে বিয়ের আয়োজনের জন্য সব প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল পরিবার থেকে।
পত্রপত্রিকার খবর, সুশান্তের সঙ্গে সর্বশেষ প্রেম ছিল অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তীর। যদিও দুজনের কেউই এ বিষয়ে নিশ্চিত করেননি। তবে বিভিন্ন স্থানে তাঁদের একসঙ্গে দেখা যেত। একসঙ্গে জিম করতে তাঁরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁদের হাসিমাখা ঘনিষ্ঠ ছবি ভক্ত-হৃদয়ে ঝড় তুলত।
এর আগে টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রিয়া চক্রবর্তী বলেন, ‘সুশান্ত ও আমি কেউই এ কথা বলিনি, তাই এটা সত্য নয়। সুশান্ত ও আমি সত্যিই খুব ভালো বন্ধু। ওকে আমি আট বছর ধরে চিনি। আমরা যশরাজ ফিল্মসে পরিচিত হই এবং আমাদের একই ম্যানেজার ছিল দীর্ঘদিন। আমাদের বন্ধুত্ব বহু দিনের।’
বলিউড বাবলের প্রতিবেদনে জানা যায়, আজ সোমবার কুপার হাসপাতালে সুশান্তের মরদেহ দেখতে যান রিয়া চক্রবর্তী। সেখানে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায় অভিনেত্রীকে। এ সময় তাঁকে মাস্ক পরিহিত দেখা যায়।
ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে নিশ্চিত হওয়া গেছে, সুশান্তের মৃত্যুর কারণ আত্মহত্যা। অভিনেতা মানসিক চাপে ছিলেন এবং গত ছয় মাস তিনি বিষণ্ণতায় ভুগছিলেন। অভিনেতার সুইসাইড নোট না পেলেও কিছু মেডিকেল প্রেসক্রিপশন উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রতিবেদনে এ-ও নিশ্চিত করা হয়েছে, তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন না।
মুম্বাইয়ের বিলে পার্লের পবন হ্যানস শ্মশানে সুশান্তের শেষকৃত্য হবে। এরই মধ্যে সুশান্তের বাবা ও স্বজনেরা মুম্বাইয়ে পৌঁছেছেন।