মালয়েশিয়ার কোয়ান্তানে হাইকমিশনের মোবাইল কনস্যুলার সেবা
মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশন মোবাইল কনস্যুলার সেবা শুরু করেছে। সরকারি ছুটির দিনে রাজ্যে রাজ্যে এ সেবা দিচ্ছে হাইকমিশন। এরই ধারাবাহিকতায় গত শনি ও রোববার (১ ও ২ জুন ) মালয়েশিয়ার কোয়ানতানে কুয়ালালামপুর বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী মোবাইল কনস্যুলার সেবা দেওয়া হয়।
এ সেবায় ই-পাসপোর্টের আবেদনগ্রহণ, বায়ো-এনরোলমেন্ট সম্পন্নকরণ ও এমআরপি পাসপোর্টসহ পাসপোর্ট সংক্রান্ত বিভিন্ন কনস্যুলার সেবা দেওয়া হয়। সেবা শেষে প্রবাসীদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মতবিনিময় সভার প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাউন্সেলর (শ্রম) সৈয়দ শরিফুল ইসলাম। কাউন্সেলর প্রবাসীদের উদ্দেশ্য বলেন, বৈধ ও সঠিক ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠালে দেশ উপকৃত হবে এবং উন্নতির দিকে এগিয়ে যাবে।
কাউন্সেলর প্রবাসী কর্মীদের অবহিত করে বলেন, যারা অবৈধ পথে অর্থ পাঠায় তাদের মাধ্যমে জঙ্গি তৎপরতা, মাদক বাণিজ্য ও অবৈধ অস্ত্র যোগানের মাধ্যমে চরম ক্ষতি ও হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে বাংলাদেশ। প্রবাসীদের বৈধপথে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে অর্থ প্রেরণ করার জন্য সরকার বিশেষ প্রণোদনাসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এছাড়া প্রবাস পেনশন স্কিম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনায় বলা হয়, প্রবাসী বাংলাদেশিদের অনেকেই বিদেশ থেকে দেশে থাকা মা-বাবা, ভাই-বোন ও আত্মীয় স্বজনের কাছে টাকা পাঠিয়েও প্রতারণার শিকার হচ্ছে। দীর্ঘদিন প্রবাস জীবন কাটিয়ে দেশে গিয়ে নিজেদের নিঃস্ব অবস্থায় দেখতে হচ্ছে প্রতারণার শিকার অনেক প্রবাসীকে।
সর্বজনীন পেনশনে অংশগ্রহণ করলে এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হবে না। ভবিষ্যতের আর্থিক নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে প্রবাসীদের পেনশন স্কিমে মালয়েশিয়া প্রবাসীদের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার আহ্বান জানান কাউন্সেলর সৈয়দ শরিফুল ইসলাম।
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন, কাউন্সেলর (পাসপোর্ট ও ভিসা) মিয়া মোহাম্মাদ কেয়ামউদ্দিন, কাউন্সেলর কন্স্যুলার মো. মোর্শেদ আলম, এনবিএল মানি ট্রান্সফারের সিইও মো. আলী হায়দার মুর্তুজা, বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত পাসপোর্ট, ভিসা ও অন্যান্য সেবা সংক্রান্ত আউটসোর্সিং কোম্পানি ইএসকেএলের ডিরেক্টর আরমান পারভেজ মুরাদ ও প্রবাসী ব্যবসায়ি ওলিউল ইসলাম। সভায় বিপুল সংখ্যক প্রবাসী সেবা প্রার্থী এবং অন্যান্য প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।