বাংলাদেশ থেকে নিরাপদে ফিরলো ১২৩ মালয়েশিয়ান
কোটা সংস্কার বাংলাদেশে সৃষ্ট অস্থিরতা এখনো পুরোপুরি কাটেনি। এই পরিস্থিতিতেও বাংলাদেশে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দেশটিতে অধ্যয়নরত শেষ বর্ষের মালয়েশীয় শিক্ষার্থী এবং বাংলাদেশে কর্মরত বেশ কয়েকজন মালয়েশীয় নাগরিক। প্রয়োজনীয় আপডেট এবং সহায়তার জন্য তাদের ঢাকায় মালয়েশিয়ান হাইকমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) মালয়েশিয়ার উইসমা পুত্র এক বিবৃতিতে এসব জানায়।
বিবৃতিতে বলা হয়, মালয়েশিয়ান নাগরিকদের সবসময় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রস্তুত রয়েছে ঢাকাস্থ মালয়েশিয়ান হাইকমিশন।
এদিকে, মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে, ২৩ জুলাই বাংলাদেশ থেকে ১২৩ জন মালয়েশীয় নাগরিক কুয়ালালামপুর ফিরছেন। তারা স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ২৩ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এয়ার এশিয়ার চার্টার ফ্লাইট একে৭৬ এর মাধ্যমে নিরাপদে ফিরছেন। মালয়েশিয়ার স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ১০ মিনিটে কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের (কেএলআইএ) টার্মিনাল-২ এ তাদের ফ্লাইটি অবতরণ করেন।
উইসমা পুত্রা বলেন, প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া কার্যকরভাবে সম্পন্ন করতে যে ধরনের সহযোগিতা দেয়া হয়েছে তার জন্য মালয়েশিয়ার সরকার বাংলাদেশ সরকারের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চায়।
গতকাল প্রধানমন্ত্রী দাতুক সেরি আনোয়ার ইব্রাহিম বলেছেন, দেশে উত্তেজনা বৃদ্ধির পর সরকার মালয়েশিয়ান শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশ থেকে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই মিশনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এবং জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের ১৫ জন কর্মকর্তা জড়িত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের আগে সরকারি চাকরিতে প্রায় ৫৬ শতাংশই বিভিন্ন কোটার ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া হতো। পরে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ২০১৮ সালে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা বাতিল করা হয়। সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে সংক্ষুব্ধরা আদালতে রিট করলে গত ৫ জুন কোটা পুনর্বহাল করে রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।
এরপর কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা পুনরায় আন্দোলন শুরু করে। সে আন্দোলন রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে গড়ালে এক পর্যায়ে বাংলাদেশ সরকার দেশব্যাপী কারফিউ জারি করে।