প্রবাস থেকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাফিয়া সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাবার আহ্বান

শহীদ জিয়ার রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারে আওয়ামী সরকারের অপচেষ্টা, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কারাবন্দী রাখায় ভার্চুয়াল প্রতিবাদ সভা করেছে মালয়েশিয়া বিএনপি।
মালয়েশিয়া বিএনপির সভাপতি ও স্বাধীনতার সুর্বন জয়ন্তী উদযাপন,এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলীয় সমন্বয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক, ইঞ্জিনিয়ার বাদলুর রহমান খান বাদলের সভাপতিত্বে ও দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা সালাহ উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন মাওলানা মোঃ মহিউদ্দিন।
ভার্চুয়াল এই সভায় প্রাধান অতিথি হিসাবে সংযুক্ত ছিলেন ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন, সাবেক মন্ত্রী, সদস্য স্থায়ী কমিটি, আহ্বায়ক স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার সরকারের নেই, তিনি শুধু স্বাধীনতার ঘোষণাই দেন নাই রনাঙ্গনে সম্মুখ সমরে যুদ্ধ করেছেন, মুক্তিযুদ্ধে সেক্টর কমান্ডার হিসেবে সুনাম অর্জন করায় তৎকালীন সরকার শহীদ জিয়াকে বীর উত্তম উপাধিতে ভূষিত করেন। বাংলাদেশের জনগনের দেয়া রাষ্ট্রীয় খেতাব বর্তমান এই অবৈধ অনির্বাচিত সরকার মিথ্যা যুক্তি দেখিয়ে ক্ষনজন্মা শহীদ জিয়ার খেতাব ছিনিয়ে নিয়ে বাংলাদেশ থেকে জাতীয়তাবাদ মুছে দিয়ে ইতিহাস বিকৃত করতে চায়।
স্বাধীনতার ৫০ বছর পর একজন বীর উত্তমের খেতাব পরিকল্পিত ভাবে ছিনিয়ে নেয়ার প্রয়াস ব্যার্থ করা হবে। গণতন্ত্র হত্যা করে সাবেক তিন বারের প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা ও ফালতু বানোয়াট মামলায় কারাবন্দী করে রাখা হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেন।
তিনি আরও বলেন পদ নিয়ে বিভক্তি নয়। বর্তমানে দল মত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কঠোর আন্দলনের মাধ্যমে অতি শীঘ্রই এই সরকারকে হটিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং দেশের প্রকৃত ইতিহাস বর্তমান নতুন জেনারেশন এর মাঝে তুলে ধরতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির আসনে ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা, উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ার পারসন, স্বাধীনতা সুবর্ন জয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির মহাসচিব আব্দুস সালাম।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার ঘোষণা, রনাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা, জাতীয়তাবাদের প্রতিষ্ঠাতা, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা, সফল রাষ্ট্রপতি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় খেতাব ছিনিয়ে নেয়ার ধৃষ্টতা দেশের জনগন মেনে নেবে না। তিনি বর্তমান সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, অতিসত্ত্বর এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসুন।
দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনুন। শহীদ রাষ্ট্রপ্রতি জিয়াউর রহমানের অবদান ইতিহাসে অমর আছে এবং থাকবে। পরিশেষে তিনি বিএনপি মালয়েশিয়ার একাত্ত্বতায় আনন্দিত। সবাই ঐক্যবদ্ধ থেকে প্রবাসে থেকে মাফিয়া সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাবার জন্য ধন্যবাদ জানান।
সভাপতির ভাষণে বিএনপি মালয়েশিয়ার সভাপতি, যুগ্ন আহ্বায়ক স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী এশিয়া প্যেসিফিক অঞ্ছলীয় সমন্বয় কমিটি প্রকৌশলী বাদলুর রহমান খান বাদল বলেন,
গত ৯ই ফেব্রুয়ারি ২০২১ ইং মঙ্গলবার জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকার) সভায় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপুর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে স্বাধীনতার পর রাষ্ট্রীয়ভাবে দেওয়া ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তে আমি মালয়েশিয়া বিএনপির পক্ষ থেকে তীব্র নন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
তিনি আরও বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান শুধুমাত্র একজন খেতাব প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাই নই তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক, একজন সেক্টর কমান্ডার, জেট ফোর্সের প্রতিষ্ঠাতা,সাবেক সেনা প্রধান এবং বাংলাদেশের প্রথম নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি। বাংলাদেশের বহুদলীয় গনতন্ত্র ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদের প্রতিষ্ঠাতা। বাংলাদেশকে একটি তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে মাত্র চার বছরে স্বনির্ভর বাংলাদেশে রুপান্তরিত করেছেন।
শেখ হাসিনা ও ষড়ন্ত্রকারীরা শহীদ জিয়াকে হত্যা করেও থেমে নাই। শহীদ জিয়ার জনপ্রিয়তা পাহাড় সমান। জিয়াউর রহমান আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের নাম সহ অসংখ্য নাম তারা পরিবর্তন করেছে। ইতিহাস বিকৃত করে স্বাধীনতার ঘোষক থেকে বাদ দেয়ার ষড়যন্ত্র করে ব্যার্থ হয়েছে। মিথ্যা মামলায় জেলে বন্দী রেখেছে গনতন্ত্রের মাতা তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে। বাংলাদেশের জনগণ বর্তমান সরকারের এই সমস্ত কার্যক্রম ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করেছেন। স্বাধীনতা সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের প্রাক্কালে স্বাধীনতার সুর্য সৈনিকদের সাথে এই প্রহসন ও তামাশা হাসিনা সরকারের ফ্যাসিবাদী চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ।
শুভেচ্ছা বক্তব্যে সদস্য কেন্দ্রীয় কার্য্যনির্বাহি কমিটি, সাধারণ সম্পাদক বিএনপি মালয়েশিয়া মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন বলেন, সম্প্রতি আল-জাজিরায় হাসিনা সরকারের দুর্নীতি, দুঃশাসন ও অপরাধ চক্রের রিপোর্ট প্রকাশের পর জনরোষের কবল থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করার জন্য ঘটানা প্রবাহ অন্য খাতে নেয়ার জন্য আরো একটা নতুন ইস্যু তৈরি করার পায়তারা করছে। এই মাফিয়া সরকার বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে যত ষড়য়ন্ত্রই করুন জনগন তা রুখে দেবে।
অবৈধ ক্ষমতা দখলকারী হাসিনা সরকারকে আগুন নিয়ে খেলা থেকে বিরত থাকার কঠিন হুশিয়ারি দিয়েছেন দলের এই নেতা। তিনি রাষ্ট্র চালাতে ব্যার্থ হাসিনার পদত্যাগ ও অবিলম্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্তি দিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে গনতন্ত্র ফিরিয়ে আনার দাবি জানান। সরকার শহীদ জিয়ার খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসলে বহির্বিশ্ব থেকে একযোগে আন্দোলনের ঘোষনা করা হবে।
অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য দেন বিএনপির কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্য ও যুক্তরাজ্য বিএপির সভাপতি আব্দুল মালেক, ইউরোপ বিএনপি উপদেষ্টা মহিউদ্দিন আহম্মেদ জিন্টু, ইউএই বিএনপি উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার আঃ সালাম, ফিনল্যেন্ড বিএনপি সভাপতি মোঃ কামরুল হাসান জনি, ফ্রান্স মহিলা বিএনপির সভা নেত্রী মমতাজ আলো, যুক্তরাজ্য বিএনপির সাবেক যুগ্ন সম্পাদক কামাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মালদ্বীপ বিএনপি ইমরান হোসেন তালুকদার, যুক্তরাজ্য বিএনপির প্রচার সম্পাদক ডালিয়া লাকুরিয়া, অস্ট্রেলিয়া বিএনপি নেতা মোঃ লুতফুল কবির, সহ আরও অনেক দেশের নেতৃবৃন্দ।
বিএপির সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক, আহ্বায়ক স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন কমিটি ড. শাকিরুল ইসলাম খান ও আস্ট্রেলিয়া বিএনপি নেতা মসলে উদ্দিন খান দুর্বার আন্দোলনের ডাক দিয়ে বর্তমান মাফিয়া সরকারের পতনে মতামত ব্যাক্ত করেন।
বিএনপি মালয়েশিয়ার নেতাকর্মীদের মাঝে বক্তব্য দেন, সহসভাপতি সাবেক সাধারণ সম্পাদক তালহা মাহমুদ, সহসাধারন সম্পাদক কাজী সালাহ উদ্দিন, সহদপ্তর সম্পাদক হাবিবুর রহমান শিশির, সভাপতি সেচ্ছাসেবক দল হাবিবুর রহমান তালুকদার রতন, যুব নেতা মোঃ জসিম উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক যুবদল আহম্মেদ হোসেন সাগর, কেএলসেন্ট্রাল বিএনপি সভাপতি আবুল কাশেম নয়ন সহ আরও অনেকে।
বহির্বিশ্ব বিএনপি থেকে সংযুক্ত ছিলেন, উপদেষ্টা দক্ষিণ কোরিয়া বিএনপি এম জামান সজল, উপদেষ্টা জাপান বিএনপি মোঃ শহিদুল ইসলাম নান্নু, সভাপতি মালদ্বীপ বিএনপি মোঃ নাসের উদ্দিন, ডেনমার্ক বিএনপির সভাপতি গাজী মনির আহম্মেদ, সহসভাপতি দক্ষিণ কোরিয়া বিএনপি মোঃ মনির হোসাইন, মালদ্বীপ বিএনপির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোঃ খলিলুর রহমান এবং আরও অনেকে।
বিএনপি মালয়েশিয়া থেকে সংযুক্ত ছিলেন, দলের সহ সভাপতি হাজী সৈয়দ জাকিরুল আলম, আব্দুল জলিল লিটন, মোঃ সাখাওয়াত হোসেন, এস এম রহমান তনু, ও এম জে আলম, সহসাধারন সম্পাদক ফজলুল করিম সোহরাব, আব্দুল্লাহ আল মামুন লিটন ও এম এম রহমান নিপু, প্রচার সম্পাদক এস এম বশির আলম, দপ্তর সম্পাদক মোঃ আমিনুল ইসলাম রতন, সহ-অর্থ সম্পাদক এম এ কালাম, সদস্য বিএনপি টিপু সুলতান, সভাপতি মালাকা বিএনপি মোঃ আজাদ উদ্দিন, জোহর বিএনপির সহ-সভাপতি যুব দলের সহ-সভাপতি মোঃ শাহজাহান হাওলাদার ও মোঃ মঞ্জ খাঁ, সহ-সাধারন সম্পাদক স্বেচ্ছাসেবক দল কাজী সোহেল মাহমুদ, সাংগঠনিক স্বেচ্ছাসেবক দল হেলাল শিকদার, জাসাস নেতা আসাদুজ্জামান মাসুম শেখ, মুক্তি যোদ্ধার প্রজন্ম দলের সভাপতি বাদল আহম্মেদসহ জোহর, পেনাং/কেডাহ, মালাকা, কেলাংসহ বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মি বৃন্দ।