মাহাথির মোহাম্মদের মৃত্যুর গুজব না রটাতে অনুরোধ মেয়ে মেরিনার

আধুনিক মালয়েশিয়ার রুপকার ডা. তুন মাহাথির মোহাম্মদের মৃত্যু নিয়ে গুজব না রাটাতে অনুরোধ করে তার মেয়ে মেরিনা বলেছেন, দয়া করে মাহাথির মোহাম্মদকে নিয়ে কোনো ভুয়া খবর প্রচার করবেন না এবং তাকে নিয়ে অতিমাত্রায় খবর প্রচার বন্ধ রাখুন।
এদিকে বাংলাদেশের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইতিমধ্যে একটি ভুয়া খবর ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে বলা হচ্ছে, আধুনিক মালয়েশিয়ার রুপকার ডা. তুন মাহাথির মোহাম্মদ মারা গেছেন। খবরটি ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়ে গেছে। তবে ৯৬ বছর বয়সী সাবেক ৩ বারের প্রধানমন্ত্রী মাহাথির এখনো জীবিত। তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন।
গত শনিবারে হার্টের সমস্যা নিয়ে মালয়েশিয়া ন্যাশনাল হার্ট ইনস্টিটিউটে ভর্তি হয়েছিলেন। এখনো তিনি সেখানেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। মাহাথির হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর সিসিইউ ইউনিটে ছিলেন। এরপর দেশটির সাংবাদিকরা ঐ হাসপাতালের সামনে খবর সংগ্রহের জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়েন।

এ বিষয়টি নিয়ে গতকাল গণমাধ্যমে মাহাথির মোহাম্মদের মেয়ে দাতিন পাদুকা মেরিনা মাহাথির কিছুটা বিরক্ত হয়ে বলেন, আমার পিতা আগের চেয়ে খানিকটা সুস্থ আছেন। আপনাদের অতিমাত্রায় কৌতুহলের কারণে আমরা পারিবারিকভাবে উদ্বিগ্ন। দয়া করে মাহাথির মোহাম্মদকে নিয়ে কোনো ভুয়া খবর প্রচার করবেন না এবং তাকে নিয়ে অতিমাত্রায় খবর প্রচার বন্ধ রাখুন।
গতকাল থেকে মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দেশটির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে খবর প্রচারিত হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, মাহাথিরের অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে এবং উন্নতির দিকে আছে।
মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আধুনিক মালয়েশিয়ার স্থপতি ডা. তুন মাহাথির মোহাম্মদ । তিনি ১৯৮১ সালে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং ২০১৮ সালে তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হয়ে ২ বছর পর ২০২০ সালে পদত্যাগ করেন। তার নেতৃত্বে ক্ষমতাসীন দল পর পর পাঁচবার সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে। তিনি এশিয়ার সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।
মাহাথিরের রাজনৈতিক দলের নাম আলোর সেতার। তার স্ত্রী সিতি হাসমাহ মোহাম্মাদ আলী। তিনি বিয়ে করেন ১৯৫৬ সালে। তাদের মারিনা মাহাথির, মুখরীজ মাহাথির, মোখজানি মাহাথির, মাজহার মাহাথির, মেলিন্দা মাহাথির নামে ৫ সন্তান রয়েছে।
তাকে নিয়ে মালয়েশিয়া প্রবাসীদের মাঝে একটি গুজব রয়েছে। মাহাথিরের দাদার বাড়ি নাকি বাংলাদেশের চট্রগ্রামে। তবে নিরপেক্ষ কোন সূত্র থেকে এর সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি বা মাহাথিরও কোনোদিন নিজ মুখে এসব কথা বলেননি।