মালয়েশিয়ান বাসীর কাছে চির স্বরনীয় হয়ে থাকবে কোকোর জানাজা
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর জরুরি অবস্থার সময় গ্রেপ্তার হলে ২০০৮ সালের ১৭ জুলাই তৎকালীন সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পাওয়ার পর চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড যান।। ২০০৮ সালের ১৭ জুলাই কারামুক্তির পর বাংলাদেশ ছাড়ার আগে একই সালের ১৭ জুলাই কারামুক্তির পর বাংলাদেশ ছাড়ার আগে তারপর তিনি ব্যাংকক থেকে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান।
ওই বছরের ২৩ জুন মুদ্রা পাচারের মামলার রায়ে আরাফাতকে ছয় বছরের কারাদণ্ড দেয় বিচারিক আদালত। সেই সঙ্গে ১৯ কোটি টাকা জরিমানাও করা হয়। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট ২০০৯ সালে ক্ষমতা নেওয়ার পর কোকোর সাময়িক মুক্তির মেয়াদ আর না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর আদালতের ডাকে না ফিরলে তাকে পলাতক দেখিয়েই বিচার এবং সাজার রায় হয় পলাতক থাকায় আপিলের সুযোগ পাননি তিনি। তবে বিএনপির দাবি এই মামলাটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
২০০৯ সালের ১৭ মার্চ মহাজোট সরকার আমলে আরাফাত কোকোর বিরুদ্ধে মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন। মামলার সোয়া দুই বছরের মধ্যে রায় হয়। এর আগে জরুরি অবস্থার সময় ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর মা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন আরাফাত। ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তারের পর ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তারের পরে প্রিজন ভ্যানে ইনহেলার নিচ্ছেন ওই সময় খালেদার বড় ছেলে তারেক রহমানও গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তিনিও সেনা নিয়ন্ত্রিত ওই সরকারের সময় মুক্তি পেয়ে বিদেশ যান। সপরিবারে এখন লন্ডন রয়েছেন তারেক। সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক সরাসরি রাজনীতিতে যুক্ত হলেও কোকো সেই পথ ধরেননি।
কোকো মালয়েশিয়া কোথায় থাকত জানত না সাধারণ প্রবাসীরা। কোকো কখনো মালয়েশিয়া জনসম্মূখে আসতনা। মালয়েশিয়া রাজনেতিক কর্মকান্ডর সাথেও জড়িত ছিল না। তবে একটা সূত্রে জানা যায় কোকো সিগামবুট ডালাম মনকিরায় একটা ভাড়া ফ্ল্যাটে থাকত। সাধাসিধে চলা ফেরা করত। ৫ ওয়াক্ত নামাজ পরত বলে জানা যায়। সর্বদা মা খালেদা জিয়া ও বড় ভাই তারেক জিয়া কে নিয়ে খুব চিন্তা করতেন।
মালয়েশিয়া প্রবাসীদের এনটিভি অনলাইন সাথে কথা হলে জানা যায় মূলত ১/১১ সময় অত্যাচারে এবং শারীরিক নির্যাতনে কোকোর এই অবস্হা হয়েছিল। শেখ হাসিনা ও নাকি বিভিন্ন গোয়েন্দা কোকোর পিছনে লাগিয়েছে। এই ভাবে তিনি চিন্তায় চিন্তায় হার্ট এ্যাটাকে মারা যান। তার মৃত্যু খবর মুহুর্তে মালয়েশিয়ার বিভিন্ন প্রদেশে ছড়িয়ে পড়ে।সবাই জড়ো হয় মালায়া হাসপাতালে।
তারপর যখন তার মরদেহ মালয়েশিয়া জাতীয় মসজিদ নেগারাতে আনা হয় তখন প্রবাসী বাংলাদেশীদের ঢল নামে কোকোর জানাজায় অংশ নিতে। প্রবাসীদের কান্নায় আর আল্লাহু আকবর আল্লাহু আকবর ধ্বনিতে মসজিদ নেগারা মুখরিত হয়ে উঠে। মালয়েশিয়া প্রবাসীরা অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে চেয়ে দেখেছে। বাংলাদেশী মানুষদের যে জিয়া পরিবারের প্রতি ভালোবাসা আছে কোকোর জানাজায় প্রমান করলো। তাছাড়া জিয়াউর রহমানকে আজও মালয়েশিয়া বাসী ভুলেনি। জিয়ার কথা এখনো মালয়েশিয়া বাসী বলে।
জিয়াকে যখন হত্যা করা হয় তখন তার জানাজায় ঢাকায় লক্ষ লক্ষ লোক জানাজায় অংশ গ্রহণ করে। পুরো বিশ্ব তা দেখেছে। এবার কোকোর জানাজা মালয়েশিয়া ইতিহাস হয়ে থাকবে কারন এখন পর্যন্ত মালয়েশিয়ার কোন নাগরিকের জানাজায় ও নাকি এত মানুষ হয়নি বলেন মালয়েশিয়ানরা জানান। রবিবার ছুটি থাকার কারণে মালয়েশিয়ার বিভিন্ন প্রদেশ থেকে প্রবাসীরা কোকোর জানাজায় শরিক হন। তাই মালয়েশিয়া বাংলাদেশীরা আরেকটি ইতিহাস রচনা করলো মালয়েশিয়ানদের কাছে। জানাজার পর এমনি মন্তব্য করেন স্বয়ং কোকোর জানাজার ইমাম ও মালয়েশিয়া জাতীয় মসজিদের ইমাম সাহেব ও জাতীয় মসজিদের খেদমতে নিয়োজিত থাকা খাদেমরা ।