মালয়েশিয়া প্রবাসীদের সাদা মাটা ঈদুল আজহা উদযাপন
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে মালয়েশিয়া সরকারের চলমান আইনে মসজিদে স্থানীয়দের ২০ জনের নামাজের অনুমতি মিললেও প্রবাসীদের অনুমতি মিলেনি। ফলে ঈদুল-ফিতরের মতই এবার ঈদুল আযহাও ঘরে প্রবাসীরা উদযাপন করেছে অনেকটা সাদা মাটা ঈদ।
তবে মালয়েশিয়া সরকার প্রবাসীদের নামাজের অনুমতি না দেওয়ায় বেশীরভাগ প্রবাসী বাংলাদেশীদেরা অনেকটাই সাদামাটাভাবে ঘরে এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ১০ জন করে ঈদের নামায আদায় করছেন।সেই সাথে করোনা মহামারি সঙ্কট ও মালয়েশিয়া পরবর্তী অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে বেশিরভাগ প্রবাসী অর্থনৈতিক ও কর্মহীন হয়ে পড়ায় অন্যান্য বছরের মতো এবারের ঈদুল আযহায় ব্যস্ততাও দেখা যায়নি বাংলাদেশি অধ্যুষিত দোকান গুলোতে।
সরেজমিনে দেখা যায় বুকিটবিনতানের বাংলাদেশী রেস্টুরেন্টগুলি আগের মতো নেই কোনো প্রবাসীদের আড্ডা।বিগত সময়ে এই সমস্ত ঈদে প্রবাসীদের আনাগোনা ছিল সব চেয়ে বেশি। কিন্তু প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের কারণে প্রবাসীরা ঘর থেকে বের হয়নি।
১লা অগাস্ট থেকে মালয়েশিয়া মাস্ক পরিধানের উপর কড়াকড়ি আরোপ করছে মালয়েশিয়া সরকার। মাস্ক পরিধান না করলে প্রতিটি নাগরিককে মালয়েশিয়া ১০০০ রিঙ্গিত জরিমানা করা হবে। সব কিছু মিলিয়ে প্রবাসীরা অনেকটা অজানা আতংকে দিন কাটছে। তার পরও মালয়েশিয়া আইন কানুন মেনে অনেক প্রবাসীকে গরু কোরবানি করতে দেখা গেছে।
পবিত্র ঈদুল আয্হা প্রসঙ্গে মালয়েশিয়া বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী ওয়াহিদুর রহমান এ প্রবেদককে জানান, মালয়েশিয়া আইন কানুন মেনে এই বার দুইটা গরু কোরবানি করেছি। তবে আগের মতো সেই আমেজ আর নাই।মানুষের মনে শান্তি নেই।প্রবাসীদের মনে এক অজানা আতংক কাজ করে।মালয়েশিয়া সরকার করোনা প্রতিরোধে অনেক সোচ্চার। আলহাদুলিল্লাহ আমরা এখনো ভালো আছি।করোনা সংকট কাটিয়ে উঠানোর জন্য মালায়শিয়া সরকারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
এদিকে বরাবরের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল আজহায় প্রবাসী বাংলাদেশি ও মালয়েশিয়ান নাগরিকসহ সকলকে ঈদ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মহ. শহীদুল ইসলাম। প্রবাসীদের ঈদ শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি বলেন, মালয়েশিয়াসহ বিশ্ববাসীর নিরাময় ও সুস্বাস্থ্য এবং নিরবচ্ছিন্ন শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেছেন।সেই সঙ্গে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সামাজিক দুরুত্ব বজায় রেখে চলার ও মালয়েশিয়ার নিয়ম কানুন মেনে চলার আহবান জানিয়েছেন।