মালয়েশিয়ার মাল্টিমিডিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করলেই সহজে চাকরি
মালয়েশিয়ার স্বনামধন্য কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে অন্যতম মাল্টিমিডিয়া বিশ্ববিদ্যালয় (এমএমইউ)। এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের সহজেই চাকরি হয় মাইক্রোসফট, ইনটেল, সিসকো, মটোরোলা ও নকিয়াতে। বিশ্ববিদ্যালয়টি কুয়ালালামপুরের অদূরে পুত্রাজায়া সাইবার জায়ায় অবস্থিত।
এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে এসব প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ল্যাব রয়েছে। সে সঙ্গে এ প্রতিষ্ঠানগুলোর আন্তসহযোগিতা বিষয়ক চুক্তিও রয়েছে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে।
মাল্টিমিডিয়া বিশ্ববিদ্যালয় মালয়েশিয়ার শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মালয়েশিয়ান কোয়ালিফিকেশন্স এজেন্সি (এমকিউএ), পাবলিক সার্ভিস ডিপার্টমেন্টসহ আরো অনেক পেশাদার প্রতিষ্ঠান কর্তৃক স্বীকৃত।
শুরু থেকেই শিক্ষার মান নিয়ে আপসহীন এ বিশ্ববিদ্যালয় মালয়েশিয়ার সরকার কর্তৃক স্বীকৃত প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। ফলে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোগ্রামগুলো বর্তমান সময়ের সবচেয়ে সুচিন্তিত ও যুগোপযোগী।
বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে এর সবচেয়ে বড় সফলতা হলো বিগত কয়েক বছরের অসংখ্য মেধাবী শিক্ষার্থী, যাঁরা আজ বিশ্বের বড় বড় আইটি প্রতিষ্ঠানে সফলতা ও সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। প্রযুক্তিনির্ভর বিশ্বের কথা মাথায় রেখেই বিশ্ববিদ্যালয়টি তাদের শিক্ষার্থীদের তৈরি করছে সুন্দর ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সফলকামের জন্য।
মালয়েশিয়ার উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক জরিপে দেখা যায়, এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের ৯৭ দশমিক ৪ শতাংশ শিক্ষা সমাপনের ছয় মাসের মধ্যেই চাকরিতে নিযুক্ত হয়।
এমএমইউ আইসিটি ও ইঞ্জিনিয়ারিং ক্ষেত্রে একটি নেতৃস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়। ২০১৫-১৬ সালের ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি জরিপে এ বিশ্ববিদ্যালয় টপ-২০০ থাকার মর্যাদা অর্জন করে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে। ২০০২ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিল গেটস মালয়েশিয়া মাল্টিমিডিয়া ইউনিভার্সিটি সফর করেন।
এ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন অধ্যাপক 'টপ রিসার্চ সাইনটিস্ট মালয়েশিয়া'র মর্যাদা লাভ করেন একাডেমি অব সায়েন্স মালয়েশিয়া কর্তৃক।
বিশ্বের প্রায় ৭০টি দেশ থেকে প্রতিবছর বহু শিক্ষার্থী এ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসেন। বর্তমানে প্রায় একশর বেশি বাংলাদেশি শিক্ষার্থী এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন।
অধ্যাপক ড. দাতুক ঘাউথ জাসমন এমএমইউর প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসেবে ১১ বছর দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ সালে দ্বিতীয় প্রেসিডেন্ট হিসেবে অধ্যাপক ড. জাহারিন ইউসূফ, ২০১১ সালে তৃতীয় প্রেসিডেন্ট হিসেবে অধ্যাপক দাতু ড. মোহাম্মদ রাসাট এবং ২০১৬ সাল থেকে চতুর্থ প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন প্রফেসর ড. আহমাদ রাফি মোহাম্মেদ ইশহাক।
এ বিশ্ববিদ্যালয়ে অসংখ্য বিষয়ে ফাউন্ডেশন, ডিপ্লোমা, ডিগ্রি, পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন ও দুইশর বেশি শর্ট কোর্সে অধ্যয়নের সুযোগ রয়েছে।
এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ প্রোগ্রামে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য প্রাথমিক ইএমজিএস ও ভিসা ফি তিন হাজার ৭০০ রিঙ্গিত। ফাউন্ডেশন প্রোগ্রামের এক বছরের সম্পূর্ণ টিউশন ফি ১৯ হাজার ৮০০ রিঙ্গিত বা প্রায় তিন লাখ ৮৯ হাজার টাকা।
ডিপ্লোমা কোর্সের টিউশন ফি বছরে প্রায় দুই লাখ ৬৪ হাজার থেকে প্রায় তিন লাখ ৭২ হাজার টাকা। ডিগ্রি প্রোগ্রামের বার্ষিক টিউশন ফি প্রায় তিন লাখ ২৫ হাজার থেকে প্রায় চার লাখ ১০ হাজার এবং পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের টিউশন ফি বছরে প্রায় ১২ হাজার ১৭ হাজার টাকা ।