ট্রাভেল পাস্ থাকা সত্ত্বেও মালয়েশিয়ায় মৃত্যু পথযাত্রী দুই বাংলাদেশি দেশে ফিরতে পারছে না

বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে ট্রাভেল পাস ও ইমিগ্রেশন থেকে স্পেশাল পাস সংগ্রহ করে যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর বিমানের টিকিট কেটেও জরুরী ভিত্তিতে দেশে ফিরতে পারলেন না ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগরের মুমূর্ষু রোগী ইমান ও টাঙ্গাইলের বানিজুর রহমান।
শনিবার (৮ জুলাই) রাত ১০ টায় এয়ার এশিয়ার একটি ফ্লাইটে তাদের ঢাকায় যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কুয়ালালামপুর KLIA 2 বিমানবন্দরে যথাসময়ে পৌছালে এয়ার এশিয়ার পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় অর্জিনাল পাসপোর্ট ছাড়া তাদের ট্রাভেল করতে দেওয়া হবে না। এই দূজনের পাসপোর্ট না থাকায় এর আগে তারা যথারীতি বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে ট্রাভেল পারমিট এবং মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন থেকে স্পেশাল পাস সংগ্রহ করে কোভিড-১৯ ভাইরাস টেস্ট ও করেন।
তারপরও এয়ার এশিয়ার টিকিট কেটে গতকাল বিমানবন্দরে গেলে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে অসুস্থ ২ জনের মধ্যে একজনের হার্ট ব্লক এবং অপরজনের কিডনি ড্যামেজ ও লিভার সমস্যায় ভুগছেন। তাদেরকে এই কয়েকদিনের মধ্যে পাঠাতে না পারলে যে কোন দূর্ঘটনা হতে পারে। ইতিমধ্যে তাদের চিকিৎসা বাবদ অনেক টাকা পয়সা খরচ হয়ে গেছে এমতাবস্থায় তাদের বাঁচাতে হলে দেশে নিয়ে চিকিৎসার প্রয়োজন।

এবিষয় ক্ষোভ প্রকাশ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা এসোসিয়েশন এর সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ রাহাদ উজ্জামান বলেন, আমরা যথারীতি সব নিয়ম মেনে রোগীদের দেশে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করছি এবং তাদের প্রত্যাকের জন্য দেশে ফেরত পাঠাতে প্রায় ৫ হাজার রিংগিত যা বাংলাদেশী টাকায় এক লক্ষ ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে এর দায়ভার কার?
তিনি এসময় আরো বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা এসোসিয়েশন এর সম্মানিত সভাপতি নাজমূল ইসলাম বাবুল গত এক মাস ধরে একটি রোগীকে চিকিৎসা করিয়ে আসছেন, তারপর আমরা দুজন সহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা এসোসিয়েশন ও কমিউনিটি লোকজন এর সহযোগিতায় দিনরাত পরিশ্রম করে রোগীদের জন্য আর্থিক কালেকশন করেছি। প্রবাসীরা তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী আর্থিক সহযোগিতা করছেন যাতে করে অসুস্থ ২ জন দেশে গিয়ে চিকিৎসা করে বেঁচে উঠতে পারেন।
এবিষয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসে যোগাযোগ করা হলে এক কর্মকর্তা জানান,বিষয়টি নিয়ে আমরা গতকাল রাত থেকে সংশ্লিষ্টদের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হচ্ছে।এবিষয়ে আমরা খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।