আগুনে ঝলসে যাওয়া মালয়েশিয়া প্রবাসী নাহিদ হাসান মারা গেছেন

মালয়েশিয়ার কোয়ান্তান হাসপাতালে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা না পেয়ে মারা গেলেন সিলিন্ডার বিস্ফোরণে মারাত্মকভাবে আহত যশোর প্রবাসী নাহিদ হাসান জিন্নাত (২৬)।
০৯ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সময় রাত নয়টায় তাকে মৃত ঘোষণা করে চিকিৎসকরা।২৪ দিন এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন নাহিদ।নাহিদের বাড়ি যশোরের বাঘারপাড়া থানার চাপাতলা গ্রামে।
নিহত নাহিদের প্রতিবেশী শফিকুল জানান, হাসপাতালের ১৭ হাজার রিঙ্গিত (৩ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা) বিল আসে, অনেক কষ্টে পরিশোধ করা হয় ১০ হাজার রিঙ্গিত (২ লক্ষ টাকা)। বাকি টাকা দিতে না পারায় এক পর্যায়ে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়া বন্ধ করে দেয়া হয়। এরপরই মারা যায় নাহিদ।
নাহিদের সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর রাখা জাতীয় শ্রমিক লীগ সভাপতি নাজমুল ইসলাম বাবুল বলেন, টাকার অভাবেই অগ্নিদগ্ধ নাহিদের মৃত্যু হলো। আর্থিকভাবে যদি সবাই সহযোগিতা করতো তাহলে উন্নত চিকিৎসা পেয়ে হয়তো নাহিদ সুস্থ হয়ে যেতো। বিষয়টি কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশ হাইকমিশনকে অবহিত করা হলেও তারা কোন পদক্ষেপ নেয়নি বলে জানান এ শ্রমিক নেতা।
করোনাকালীন আরএমসিও এর মধ্যে নাহিদের মরদেহ দেশে পাঠাতে প্রয়োজন অর্থের। তার মরদেহ দেশে নিতে সমাজের বিত্তবানদের সহযোগীতা চেয়েছেন নিহত নাহিদের পরিবার।
উল্লেখ্য গেলো ১৭ই আগষ্ট রান্নাঘরের গ্যাস সিলিন্ডার বিষ্ফোরণে পুরো শরীর ঝলসে যায় নাহিদের শরীর। সহকর্মীদের সহোযোগীতায় ভর্তি করা হয় পার্শ্ববর্তী কোয়ান্তান হাসপাতালে। দীর্ঘ ২৪ দিন পর এই হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তার।