স্বপ্ন পূরণ হলো না মালয়েশিয়া প্রবাসী রবের

পরিবারের স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে ২০০৮ সালে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান আব্দুর রব। পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে আব্দুর রব সবার বড়। ধার-দেনা করে মালয়েশিয়ায় আসলেও সেই ধারের টাকা শোধ করতে পারেননি রব। দীর্ঘ ১২টি বছর মালয়েশিয়ায় দুঃখ কষ্টে দিন অতিবাহিত করেছেন তিনি।
আব্দুর রবের দুই ছেলে ও এক মেয়ে। জীবনের গুরুত্বপুর্ণ ১২টি বছর কাটিয়ে দেন মালয়েশিয়ায় রব। রব পরিবারের মুখে হাসি ফুটানোর জন্য নিজের জীবনের পরোয়া না করে অনেক ঝুঁকিপূর্ন কাজ করতেন মালয়েশিয়ায়। ছেলে-মেয়ের কথা ভেবে কোনো কষ্টকে পাত্তা দেননি তিনি।
ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে গত শনিবার (১৯ জুন) মালয়েশিয়া স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার দিকে কোটা দামন সারার নিউ ক্লাং ভ্যালি এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারে ধসে পড়ে আর তাতে চাপা পরে গুরুত্বর আহত হন তিনি। খবর পেয়েই ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার কর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে রবসহ অন্যানদের উদ্ধার করেন।

পরে রবকে সুঙ্গাই বুলু হাসপাতালে ভর্তি করা হলে পরদিন রোববার (২০ জুন) বিকেল ৪টার দিকে স্থানীয় হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক রবকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত আব্দুর রবের ছোট ভাই মালয়েশিয়া প্রবাসী মিজানুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে জানায়, ‘বড় ভাইয়ের (রব) স্ত্রী ও এক ছেলে এক মেয়ে নিয়ে অভাবের সংসার। মালয়েশিয়ায় এসে পরিবারকে ভালো কিছু দেয়ার প্রত্যাশা ছিল তার। বড় ভাইয়ের অনেক স্বপ্ন ছিল।
ছেলে মেয়েকে পড়াশোনা করাবে। কিন্তু সেই স্বপ্ন আর পূরণ হলোনা। মালয়েশিয়ায় আমার ভাই বৈধ ভিসায় কাজ করতো। ইন্সুরেন্সও করা আছে। কুয়ালালামপুর বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাছে একটাই দাবী, আমার ভাই যেনো ইন্সুরেন্স থেকে বঞ্চিত না হয়, সেইদিকে নজর দেওয়ার অনুরোধ করছি। ভাই মারা গেছে, ভাইকে আর আমরা ফিরে পাবনা কিন্তু এই ইন্সুরেন্স টাকাটা পরিবারের কিছুটা হলেও উপকার হবে। সবাই আমার ভাইয়ের জন্য সবাই দোয়া করবেন আল্লাহ যেন থাকে বেহেস্ত নসিব করে’।
নিহত আব্দুর রব মৃত গফুর মোল্লার বড় ছেলে। জন্মস্থান বাংলাদেশের মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার সীমাখালী গ্রামের।