মালয়েশিয়ায় লকডাউনে বেসরকারি কর্মীদের ঘরে থাকার নির্দেশনা

মালয়েশিয়া দিনদিন করোনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় ১৪ অক্টোবর থেকে চলছে কন্ডিশনাল মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডার (সিএমসিও), এই অবস্থায় আরো কঠোর হচ্ছে দেশটির সরকার।
আগামী ২২ অক্টোবর থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কোন বেসরকারি অফিস কর্মীদের ঘর থেকে বের না হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন সিনিয়র মন্ত্রী দাতো সেরী ইসমাইল সাবরি ইয়াকুব।
মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে কুয়ালালামপুরে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে এক বিবৃতিতে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এটি কেবল সরকারি প্রস্তাবনা কিংবা পরামর্শ নয়। এটা সরকারি নির্দেশনা। ২২ অক্টোবর থেকে কুয়ালালামপুর, সেলাঙ্গর , সাবাহ, পুত্রাজায়া এর বেসরকারি অফিস কর্মকর্তা কর্মচারিগণ বাসায় থেকে কাজ করতে হবে। আর সরকারি কর্মীদের জন্য পাবলিক সার্ভিস এর ডিরেক্টর জেনারেল এবিষয়ে শিগগিরই নির্দেশনা দিবেন।তিনি আরো বলেন, অব্যাহত করোনা ভাইরাস সংক্রমন ঠেকাতে জাতীয় সুরক্ষা কাউন্সিলের স্বিদ্বান্তে এই নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
মালয়েশিয়ায় আজ নতুন ৮৬২ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হয়েছে। নতুন করে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা এখন ২২ হাজার ২২৫ জন এবং দেশটিতে এ পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন ১৯৩ জন।
নতুন করে সুস্থ্য হয়েছেন ৬৩৪ জন। এই পর্যন্ত সর্বমোট সুস্থ্য হয়েছেন ১৪ হাজার ৩৫১ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ২ জন বাইরে থেকে আসা বাকি ৮৬০ জন মালয়েশিয়ার বিভিন্ন রাজ্যের।
দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮৬২ জনের মধ্যে ৬৭৩ জন সাবাহ প্রদেশের, সারওয়াক ১ জন , কেদাহ রাজ্যের ১৭ জন, পেনাং ৮ জন , জোহর ১ জন । অন্যদিকে সেলাঙ্গরে ১৩২ জন, লাবুয়ানে ৬ জন, কুয়ালালামপুরে ৭ জন, পেরাকে ৯ জন , নেগারি সেম্বিলানে ৬ জন , পুত্রাজায়া ১ জন, মেলাকা ০ জন, তেরেঙ্গানু ০ জন , পাহাং ০ জন , কেলান্তান ১ জন আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে।
গত ১৮ ই মার্চ থেকে টানা লকডাউনে দেশটির জিডিপি ২২ বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে পৌঁছে। দেশি ও বিদেশি শ্রমিকরা কাজ হারিয়ে বেকার হয়ে আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হন। তারপর জুলাইয়ের প্রথম দিকে লকডাউন শিথিল হওয়ার পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে থাকে এবং মার্কিন ডলারের বিপরীতে মালয় রিংগিতের মান বাড়তে থাকে। শ্রমিকরা তাদের নিজ নিজ কর্মস্থলে ফেরার পরিবেশ তৈরী হয়। এদিকে ২২ তারিখ থেকে বেসরকারি অফিস কর্মীদের জন্যে নতুন নির্দেশনার খবরে তাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে।