মালয়েশিয়ায় করোনায় একদিনে সর্বোচ্চ ৩৬০ জনের মৃত্যু
নতুন ভ্যারিয়েন্টের করোনাভাইরাসের থাবায় বিপর্যস্ত মালয়েশিয়া। দেশটিতে গত কয়েকদিন ধরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা প্রতিদিনই রেকর্ড ছাড়িয়ে যাচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩৬০ জন, যা এখন পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় একদিনে মৃত্যুর সর্বোচ্চ রেকর্ড। এ নিয়ে মালয়েশিয়ায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মোট ১০ হাজার ৭৪৯ জনের মৃত্যু হলো।
এ ছাড়াও গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৮ হাজারের ৬শত ৮৮ জন মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছে।এ নিয়ে দেশটিতে ১২ লাখ ৬২ হাজার ৫৪০ জন মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ্ হয়েছেন ১৭ হাজার ৫৫ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ১০ লক্ষ ২৬ হাজার ৫৮৮ জন।
স্থানীয় সময় রবিবার (০৮ আগস্ট) দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালক ডা. নূর হিশাম আব্দুল্লাহ কোভিড-১৯ এর নিয়মিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৮,৬৮৮ জনের মধ্যে ১,৩৭৯ জন সাবাহ প্রদেশের, সারওয়াক ৫৮১ জন, কেদাহ রাজ্যের ১,৬১০ জন, পেনাং ৬৯৪ জন , জোহর ১,৩০৮ জন। অন্যদিকে সেলাঙ্গরে ৬,৬৬৫ জন, কুয়ালালামপুরে ১,৮৮৩ জন, পুত্রাজায়া ৬৩ জন , পেরাক ৮৬১ জন, নেগারি সেম্বিলানে ১,১৪০ জন , মেলাকা ৫২৬ জন, কেলান্তান ৮৭০ জন, তেরেঙ্গানু ৫৯৮ জন ,লাবুয়ান ০২ জন,পার্লিস ০৬ জন,পাহাং ৬০২ জন আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে করোনার টিকার দুটি ডোজ গ্রহণকারী নাগরিকদের রেস্তোরাঁয় বসে খাওয়ার অনুমতি এবং আন্তঃজেলা ও আন্তঃরাজ্য চলাচলে শিথিল করা হয়েছে। রোববার (০৮ আগস্ট) দেশটির প্রধানমন্ত্রী মুহিউদ্দিন ইয়াসিন স্থানীয় টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে এ তথ্য জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ন্যাশনাল রিকভারি প্ল্যানের দ্বিতীয় ধাপের রাজ্যগুলোতে যে সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে, দূরপাল্লার বিবাহিত দম্পতিরা, যারা সম্পূর্ণরূপে টিকাপ্রাপ্ত, তারা তাদের স্ত্রীদের সাথে দেখা করার জন্য আন্তঃজেলা এবং আন্তঃরাজ্য ভ্রমণ করতে পারবেন এবং যে সব পিতামাতাকে সম্পূর্ণটিকা দেওয়া হয়েছে, তারা তাদের ১৮ বছরের কম বয়সী সন্তানদের সাথে দেখা করতে জেলা ও রাজ্যগুলো অতিক্রম করতে পারবেন।
একই সাথে মসজিদে নামাজ আদায়ের অনুমতিসহ সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সামাজিক দূরত্ব রেখে শারীরিক ব্যায়াম এবং খেলাধুলার অনুমতি থাকবে।
বর্তমানে দেশটির সেলাঙ্গর, কুয়ালালামপুর, নেগরি সেমবিলান, কেদাহ, জোহর, মালাক্কা এবং পুত্রজায়া ব্যতিত বাকি সব রাজ্যকে ন্যাশনাল রিকভারি প্লানের দ্বিতীয় ধাপের লকডাউনের অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।