সৌন্দর্য মন্ডিত মালাক্কার ভাসমান মসজিদ
মালাক্কা প্রণালী দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় মালয় উপদ্বীপ এবং ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপের মধ্যে অবস্থিত একটি সংকীর্ণ সমুদ্রপ্রণালী। মালাক্কা কে ঘিরে মালয়েশিয়ার বিচিত্র বর্ণময় ইতিহাসের একটা বড় অংশ রয়েছে। আর মালয়েশিয়া সর্ব প্রথম ইসলাম প্রচার ও প্রসার এই শহরে। মালাক্কা মালয়েশিয়ার তৃতীয় ক্ষুদ্রতম একটি রাজ্য এবং ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত। তাই মালাক্কাকে বলা হয় মালয়েশিয়ার ইতিহাসের শহর।
ঐতিহ্যের এই শহরের আসল নাম মেলাকা হলেও সবাই মালাক্কা নামেই চেনে। মালাক্কা শহর দেখার জন্য বেশ কিছু ঐতিহাসিক ও আকর্ষণীয় জায়গা রয়েছে। এসব জায়গার অন্যতম হলো মালাক্কা সুলতানের বাড়ি, হেরিটেজ মিউজিয়াম, সেন্ট পল চার্চ, মালাক্কা ডাচ স্কয়ার, স্কাই টাওয়ার, মালয়েশিয়া মুসলিম মিউজিয়াম, স্থাপত্য মিউজিয়াম ও মসজিদে ট্রানকুরাহ ইত্যাদি।
মালাক্কার আরেকটি বিখ্যাত স্থাপনার নাম 'মসজিদ সালাহ মালাকা।' মসজিদটি সমুদ্রপাড়ে অবস্থিত। দূর থেকে দেখলে মনে হবে, মসজিদটি যেন পানিতে ভাসছে।
প্রাচীন স্থাপত্যের নকশার অনুকরণে মসজিদটি নির্মিত। ২০০৬ সালের ২৪ নভেম্বর মসজিদটি নামাজের জন্য খুলে দেওয়া হয়। মসজিদ সংলগ্ন বিশাল উঁচু মিনার, সুপরিসর বাগান, পার্কিং ও সামনের খোলা জায়গাজুড়ে দেখা মেলে পযর্টকদের।
সুসজ্জিত মসজিদে রয়েছে নারীদের আলাদা নামাজের জায়গা। মসজিদের বিশাল কাঠের মিম্বর ও বড় সাইজের সিলিং ফ্যান এই মসজিদের বিশেষত্ব।
মসজিদটিতে অতিথিদের জন্য শরবত ও ঠাণ্ডা পানি পানের সুব্যবস্থা রয়েছে। মসজিদের পাশে বিয়ে শাদী ও অন্যসব সামাজিক অনুষ্ঠানের জন্য রয়েছে বিশাল হলরুম।
রয়েছে মসজিদের নিজস্ব অ্যাম্বুলেন্স ও দাফন-কাফনের ব্যবস্থা। জুতা চুরির আশঙ্কা নেই বিধায় জুতার স্ট্যান্ড মসজিদের বাইরে রাখা।দ্বিতল মসজিদের মূল ভবনে রয়েছে বিশাল আকৃতির একটি গম্বুজ। মসজিদের চারপাশের দরজাগুলো খোলা। মসজিদের দক্ষিণ পাশে সাগরের ওপর বিশাল এলাকাজুড়ে জেটির মতো মাচা নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে সাগরের সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য। এখানে দাঁড়িয়ে দেখা যায় দৃষ্টিসীমাজুড়ে শুধু পানি আর পানি।