মালয়েশিয়ায় করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ,দিন দিন বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা
মালয়েশিয়ায় কড়া বিধিনিষেধের মধ্যেও বেড়েই চলেছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা।মালয়েশিয়ায় অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে নতুন করে গত ২৪ ঘণ্টায় ৭ হাজার ৪৭৮ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। করোনা আক্রান্ত ৬৩ জন মারা গেছেন। যা মালয়েশিয়া আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা সর্বোচ্চ রেকর্ড। এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৫ লাখ ৩৩ হাজার ৩৬৭ জন। মোট মারা গেছেন ২ হাজার ৪৩২ জন। সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৪২৭ জন।
বুধবার (২৬ মে ) দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক ড. নূর হিশাম এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭৪৭৮ জনের মধ্যে ২২৯ জন সাবাহ প্রদেশের, সারওয়াক ৬৪০ জন, কেদাহ রাজ্যের ৪৪২ জন, পেনাং ৪২০ জন , জোহর ৫৮৭ জন । অন্যদিকে সেলাঙ্গরে ২৪৫৫ জন, কুয়ালালামপুরে ৭৬০ জন,পুত্রাজায়া ২৯ জন , পেরাক ২৬৪ জন , নেগারি সেম্বিলানে ৩৭০ জন , মেলাকা ২৩০ জন, কেলান্তান ৫৪৭ জন,তেরেঙ্গানু ১৭৭ জন ,লাবুয়ান ৪৯ জন,পার্লিস ০৮ জন,পাহাং ১৭১ জন আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে কোভিড ১৯ সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বিধিনিষেধ জারি করল মালয়েশিয়া। এ বিধিনিষেধ আগামী ৭ জুন পর্যন্ত জারি থাকবে বলে জানিয়েছেন দেশটির সিনিয়র মন্ত্রী দাতুক সেরি ইসমাইল সাবরী ইয়াকুব।
গত শনিবার (২২ মে) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ২৫ মে থেকে ৭ জুন পর্যন্ত বিধিনিষেধ থাকবে।
মন্ত্রী দাতুক সেরি ইসমাইল সাবরী বলেন, গণপরিবহন- বিশেষ করে বাস ও এলআরটি ৫০ ভাগ চলাচল করবে। অব্যাহতভাবে বাড়তে থাকা করোনা সংক্রমণ কমাতে সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি বলেন, মালয়েশিয়ার অর্থনীতি এবং জনগণের স্বাভাবিক জীবন-যাপন ব্যাহত হওয়ার শঙ্কায় সারাদেশে কঠোর লকডাউন চাপানো হচ্ছে না। বিধিনিষেধকালে সরকারি খাতের ৮০ ভাগ কর্মচারী এবং বেসরকারি খাতের ৪০ ভাগ কর্মচারী ঘরে থেকে কাজ করবেন।
মালয়েশিয়া করোনা পরিস্থিতি দিন দিন বাড়ার কারণে প্রবাসী বাংলাদেশীদের অনেকেই কাজ হারিয়ে এক প্রকার গৃহবন্দী হয়ে পড়েছেন। টানা লকডাউনে সাধারণ প্রবাসী কর্মীদের ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে। বিভিন্ন খাত বন্ধ থাকায় আবারও প্রবাসীরা অর্থনৈতিক চাপে মুখে পড়ছে বলে জানা গেছে।একের পর এক লক ডাউন যেমন মালয়েশিয়া অর্থনীতি ধস নেমেছে প্রবাসীরা হতাশায় আর দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছে।