মালয়েশিয়ায় জীবন সংগ্রামে জয়ী বাংলাদেশি ‘দাতো’ মিজান
ঠাকুরগাঁও জেলার প্রত্যন্ত গ্রাম হরিহরপুরের ঠাকুরগাঁও রোডে মোহাম্মদ মিজানের জন্ম। তার পিতার নাম মোহাম্মদ কারির উদ্দিন। পাঁচ ভাই ও ছয় বোনের বিশাল পরিবার তাদের। তিনি ছিলেন পঞ্চম। অর্থকষ্ট লেগেই ছিল পরিবারটিতে। তাই মিজানের ছোটবেলা থেকেই কিছু একটা করার ইচ্ছা ছিল।
ভাগ্যান্বেষণে মিজান মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান ১৯৯৬ সালে। প্রথমে তিনি তিনি একটি ইলেক্ট্রনিক কোম্পানিতে কাজ নেন। তারপর চলে আসেন কুয়ালালামপুর। সেখানকার পেনাংয়ে একটি জুস ফ্যাক্টরিতে প্রায় তিন বছর কাজ করেন।
একসময় মিজান বুঝলেন, বড় হতে হলে তাকে ব্যবসা করতে হবে। তাই তিনি চলে যান কেলান্তান প্রদেশে। কিন্তু গিয়েই সেখানে তিনি প্রতারণা ও পুলিশ হয়রানি শিকার হন। শেষে আবার তিনি কেলান্তানে একটি কনস্ট্রাকশান সাইটে শ্রমিক হিসাবে কাজ শুরু করেন। তবে তার যোগ্যতা ছিল; মেধা ও পরিশ্রমে সুপারভাইজার হয়ে যান। তখন কেলান্তান প্রদেশের অবস্থা বেশি ভালো ছিল না, লোকজনও ছিল কম। কিন্তু মিজান এগিয়ে যেতে থাকেন।
একসময় তিনি নিজের প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। এখন তার মিজান গ্রান্ড ইন্টার ট্রেডার্স এসডিএন বিএইচডি অনেকেই চেনে। তিনি মালয়েশিয়াতেই বিয়ে করেন; পাঁচ সন্তানের জনক। কামেরন হাইল্যান্ডসহ মালয়েশিয়ার নানান জায়গায় তার বেশ কিছু প্রকল্প রয়েছে। তিনি মালয়েশিয়াতে এখন একাধিক বাড়ি ও গাড়ির মালিক।
সফলতার জন্য মালয়েশিয়ার কুয়ান্তানের রাজা সম্মানসূচক 'দাতো' উপাধিতে ভূষিত করেন মিজানকে। দাতো মোহাম্মদ মিজান জানান, জীবনে বড় হতে হলে কঠোর পরিশ্রমী হতে হয়। সততা ও নিষ্ঠা থাকলে জীবনে বড় হওয়া যায়। পৃথিবীতে আজ যারা সফল হয়েছেন তারা কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে সফল হয়েছেন। আমি বাংলাদেশি হিসাবে খুব গর্ব করি।