মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ কমিউনিটি প্রেসক্লাবে'র বর্ধিত সভা

করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘ বিরতি শেষে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের জাতীয় পত্রিকা ও বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে কর্মরত প্রবাসী সাংবাদিকদের প্রাণের সংগঠন বাংলাদেশ কমিউনিটি প্রেস ক্লাবের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
স্থানীয় সময় রোববার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় কুয়ালালামপুরের বুকিত বিনতাংয়ের একটি অভিজাত রেস্টুরেন্টে এ সভার আয়োজন করা হয়।
প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও সময় টিভির মালয়েশিয়া প্রতিনিধি মোহাম্মদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ও আর টিভি মালয়েশিয়া প্রতিনিধি মোস্তফা ইমরান রাজু।
এ সময় বক্তব্য দেন সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি আমিনুল ইসলাম রতন, সহ-সভাপতি ও এনটিভির মালয়েশিয়া প্রতিনিধি কায়সার হামিদ হান্নান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ওআইসিটুডের হেড অব মিডিয়া অ্যান্ড ক্রিয়েটিভ সাঈদ হক, সাংগঠনিক সম্পাদক ও বাংলা ভিশনের মালয়েশিয়া প্রতিনিধি এম ফরহাদ হোসেন, দপ্তর সম্পাদক সিএনআই প্রতিনিধি শাহাবুদ্দিন আহমেদ, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক এনটিভি মালয়েশিয়ার নিউজ রুম এডিটর (ইংরেজি) কবি আবু সুফিয়ান, এছাড়া কার্যকরী কমিটির সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাপ্পি কুমার দাস।
সভায় আলোচকরা বলেন, করোনাকালীন দীর্ঘ লকডাউনে যে সব প্রবাসী কাজ হারিয়ে অর্থ ও খাদ্য সঙ্কটে ছিলেন কমিউনিটির বিত্তবানদের সহযোগিতায় এ সংকট মোকাবিলায় যথাসাধ্য তাদের পাশে থেকেছি। ভবিষ্যতেও সাধারণ প্রবাসীদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন আলোচকরা। এছাড়াও প্রেস ক্লাবের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। মালয়েশিয়ায় করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় সংগঠনের পরবর্তী কার্যক্রমকে আরও এগিয়ে নিতে একমত পোষণ করেন সংবাদকর্মীরা।
বাংলাদেশ কমিউনিটি প্রেস ক্লাব দীর্ঘদিন ধরে যে মর্যাদা আর ঐক্যের দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে সেটি বজায় রাখার ওপরও তারা গুরুত্বারোপ করেন। কোভিড মহামারির কারণে দীর্ঘ বিরতির পর সশরীরে উপস্থিত এ বর্ধিত সভা অত্যন্ত আনন্দদায়ক ও প্রাণবন্ত ছিল।
এ সময় সাংবাদিক নেতারা সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, দূতাবাস কেন্দ্রিক ও প্রবাসীদের কল্যাণে সত্য সংবাদ প্রচারের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে সুদৃঢ় বন্ধন তৈরি করার আহ্বানও জানান।
সভা শেষে মালয়েশিয়াসহ বিশ্বের সব দেশে মহামারি করোনায় আক্রান্ত হয়ে যেসব রেমিট্যান্সযোদ্ধা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের আত্মার মাগফেরাত এবং যারা আক্রান্ত হয়ে এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাদের সুস্থতা কামনা করা হয়।