মালয়েশিয়া প্রবাসী অহিদুর রহমান আবারও পেলেন সিআইপি মর্যাদা
![](https://malaysia.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2023/11/23/wahid.png?itok=RdpB7Pj_×tamp=1700748580)
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় টানা দ্বিতীয়বারের মতো বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (সিআইপি) নির্বাচিত হয়েছেন মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান সি মিলেনিয়াম ট্রেড (এম) এসডিএন বিএচডির স্বত্বাধিকারী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মালয়েশিয়া শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. অহিদুর রহমান অহিদ।
বুধবার (২২ নভেম্বর) প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে ২০২১ সালের জন্য তিনটি আলাদা ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত এনআরবি-সিআইপি তালিকা প্রকাশ করা হয়। অহিদুর রহমান মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি পণ্যের আমদানিকারক অনাবাসী বাংলাদেশি ক্যাটাগরিতে ২০২০ সালের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন।
তালিকায় বাংলাদেশে শিল্পক্ষেত্রে সরাসরি বিনিয়োগকারী অনিবাসী বাংলাদেশি ক্যাটাগরিতে দুই জন, বাংলাদেশে বৈধ চ্যানেলে সর্বাধিক বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরণকারী অনিবাসী বাংলাদেশি ক্যাটাগরিতে ৭৩ জন এবং বিদেশে বাংলাদেশি পণ্যের আমদানিকারক অনিবাসী বাংলাদেশি ক্যাটাগরিতে দশ জনসহ সর্বমোট ৮৫ জনকে বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (সিআইপি) হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে।
অহিদুর রহমানের বাড়ি কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট থানার রায়কোট মাহিনি বাজারের কুকুরখীল গ্রামে। করোনাকালে সহায়তা দিয়ে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাশে থেকে বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি।
সিআইপি অহিদুর রহমান জানান, মানুষের সেবাই তার জীবনের ব্রত। কোনো প্রতিদান ছাড়াই তিনি দেশের এবং মানুষের সেবা করে যেতে চান।
ইনসানুর রহমান নামে প্রবাসী এক বাংলাদেশি বলেন, ‘সিআইপি অহিদুর রহমান নিঃস্বার্থভাবে দেশ ও মানুষের সেবা করে যাচ্ছেন। রাজনীতির অঙ্গনেও তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে।’
যেসব সুবিধা পাবেন এনআরবি-সিআইপিরা
নির্বাচিত সিআইপিদের (এনআরবি)- প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে সরকার অনুমোদিত পরিচয়পত্র দেয়া হবে। সিআইপি কার্ডের মেয়াদ থাকাকালীন তারা বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য প্রবেশপত্র পাবেন ও সরকার নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট বিষয়ক নীতিনির্ধারণী কমিটিতে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হবেন। সিআইপিরা দেশ-বিদেশে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে অগ্রাধিকার পাবেন।
এছাড়া জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবসগুলোতে বিদেশে থাকা বাংলাদেশ মিশন আয়োজিত অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পাবেন তারা। সড়ক, বিমান, নদীপথে ভ্রমণে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকিট পাবেন। হোটেল-রেস্তোরাঁয় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সেবা পাবেন। বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ-২ চামেলী ব্যবহার এবং স্পেশাল হ্যান্ডলিং ব্যবহারের সুযোগ পাবেন।
সিআইপিরা স্ত্রী-স্বামী, নির্ভরশীল পুত্র-কন্যা ও নিজেদের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কেবিন সুবিধা পাবেন। সিআইপি ব্যক্তি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মতো সুযোগ-সুবিধা পাবেন এবং তাদের বিনিয়োগ ‘ফরেন প্রাইভেট ইনভেস্টমেন্ট (প্রমোশন অ্যান্ড প্রটেকশন) আইন, ১৯৮০’ এর বিধান অনুযায়ী সংরক্ষণ করা হবে বলেও আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
এছাড়া বাংলাদেশে উপস্থিত থাকলে বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠানে এবং সিটি করপোরেশন আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ পাবেন সিআইপিরা। আগামী ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় প্রবাসী দিবস ২০২৩ উদযাপন অনুষ্ঠানে নির্বাচিত সিআইপিদের মধ্যে সম্মাননা ও সিআইপি কার্ড দেয়া হবে বলে জানা গেছে।