নতুন নতুন দেশে মানবসম্পদ রপ্তানির উদ্যোগ নিয়েছি : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বাংলাদেশ এখন অর্থনৈতিক কূটনীতি নিয়ে কাজ করছে। মধ্যপ্রাচ্যের বাইরে গিয়ে নতুন নতুন দেশে মানবসম্পদ রপ্তানির উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা জেনে খুশি হবেন, সম্প্রতি আমাদের মধ্যপ্রাচ্যে মার্কেট কমে যাচ্ছে। তবে আমরা নতুন নতুন মার্কেটও পেয়েছি। গত সপ্তাহে আমরা উজবেকিস্তানেও লোক পাঠিয়েছি। আমরা যেসব দেশে আগে কখনো লোক পাঠাইনি যেমন পোলান্ড ও ক্রোয়েশিয়াতেও লোক পাঠাচ্ছি। এটা একটা নতুন অঞ্চল। এ ছাড়া জাপানে ও দক্ষিণ কোরিয়ায় লোক পাঠালাম। আমরা নতুন নতুন জায়গা খুঁজছি। অনেকে জানেন না পৃথিবীর ছোট একটা দ্বীপেও আমাদের লোক আছে।’
রপ্তানি বাণিজ্যেও বৈচিত্র্য এসেছে উল্লেখ করে আবদুল মোমেন বলেন, ‘আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে স্বাস্থ্যসুরক্ষা সামগ্রী ও নতুন নতুন পণ্য রপ্তানি করছে বাংলাদেশ। এ ছাড়া আমাদের দেশের যে সাফল্য সেটা অকল্পনীয়। আমরা বলছি না, বিদেশিরা বলেছে বৈশ্বিক করোনা মহামারির মধ্যেও বাংলাদেশ তার জিডিপি ৮ দশমিক ২-এ রাখতে সক্ষম হয়েছে। যা অনেক দেশের কাছেই বিস্ময়।’
আজ শনিবার দুপুরে নাটোর সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
নাটোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শাহরিয়াজের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল ও শহিদুল ইসলাম বকুল এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ সব সময় প্রতিবেশীসহ সব রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার নীতি অনুসরণ করে। যুদ্ধ নয়, সীমান্ত হত্যা, পানি সমস্যাসহ অনেক অমীমাংসিত বিষয় বাংলাদেশ ডায়ালগের মাধ্যমে সমাধান করেছে। নরেন্দ্র মোদি-শেখ হাসিনা যেভাবে সমস্যার সমাধান করেছে অন্য কোথাও তার নজির পাওয়া যাবে না।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলা পরিদর্শনের অংশ হিসেবে নাটোর সফর করেন মন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।