ওডব্লিউএসডি মালয়েশিয়া চ্যাপ্টারের সদস্য হলেন ডাঃ লুবনা
ডাঃ লুবনা আলম ২০২০-২০২৪ মেয়াদে ওডব্লিউএসডি মালয়েশিয়া চ্যাপ্টারের কো-অপ্ট সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। অর্গানাইজেশন ফর উইমেন ইন সায়েন্স ফর ডেভেলপিং ওয়ার্ল্ড (ওডব্লিউএসডি) একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা যা বিভিন্ন উন্নয়নশীল বিশ্বের মহিলা বিজ্ঞানীদের জন্য গবেষণা প্রশিক্ষণ, পেশাগত উন্নয়ন এবং নেটওয়ার্কিংয়ের সুযোগ সরবরাহ করে থাকে। এই প্রতিষ্ঠানটি ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৯৩ সালে চালু হয়েছিল। এটি ইউনেস্কোর একটি প্রোগ্রাম ইউনিট এবং ইতালির ট্রিস্টে ওয়ার্ল্ড একাডেমি অফ সায়েন্সসের (টিডব্লিউএএস) অফিসে অবস্থিত। এই সংস্থার অন্যতম লক্ষ্য হল উন্নয়নশীল এবং উন্নত বিশ্বের খ্যাতিমান বিজ্ঞানীদের একত্রিত করে উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় তাদের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করা।
২০১১ সালে ওডব্লিউএসডি মালয়েশিয়া ন্যাশনাল চ্যাপ্টার প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এটি কুয়ালালামপুরে অবস্থিত। ওডব্লিউএসডি মালয়েশিয়া ন্যাশনাল চ্যাপ্টারের মূল লক্ষ্য হল আর্থ-সামাজিক কাঠামোর পরিবর্তনের সমর্থনে মহিলাদের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম হিসাবে কাজ করা এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে মহিলাদের দক্ষতা অর্জন এবং উন্নতি সাধনের পথ প্রশস্ত করা।
ডঃ লুবনা আলম বর্তমানে মালয়েশিয়ার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র লেকচারার হিসাবে কর্মরত আছেন। তিনি মালয়েশিয়ার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমুদ্র বিজ্ঞান বিষয়ে পিএইচডি ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রী এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিশারিজ বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেছেন। গবেষণায় তাঁর দশ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং তিনি তার বিশ্ববিদ্যালয় এবং সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একাধিক গবেষণা নেটওয়ার্ক স্হাপন করেছেন। তদুপরি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টার্ট দ্বারা প্রস্তাবিত সম্মানজনক "প্যান এশিয়া রিস্ক রিডাকশন ফেলোশিপ" এর জন্য তাকে ভূষিত করা হয়েছে এবং মালয়েশিয়ার ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (স্টার্ট) ও ফিলিপাইন লস বানোস বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ে গবেষণা কার্য পরিচালনা
করেছেন। তিনি বিশ্বখ্যাত সংস্থা “দ্য ওয়ার্ল্ড একাডেমি অফ সায়েন্সেস” কর্তৃক প্রদত্ত TWAS-UNESCO ফেলোশিপ অর্জন করেছে। তদুপরি, তিনি ইউনাইটেড নেশনস ইউনিভার্সিটির কর্মসূচির আওতায় দক্ষিণ কোরিয়ার পুকিয়ং ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে "ফিশারি এবং জলবায়ু পরিবর্তন" বিষয়ে কোর্স গড়ে তোলার জন্য সক্রিয় কমিটির সদস্য হিসাবে কাজ করেছিলেন। এ ছাড়া, তিনি জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত আইপিসিসির প্রতিবেদনের বিশেষজ্ঞ পর্যালোচক হিসাবে কাজ করেছেন। সম্প্রতি, ডাঃ লুবনাকে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন, বাংলাদেশের গ্রীষ্মকালীন কোর্স পরিচালনার জন্য ভিজিটিং ফ্যাকাল্টি হিসাবে আমন্ত্রিত করা হয়েছে।