বাংলাদেশসহ ২৩টি দেশের নাগরিক সহসাই মালয়েশিয়ায় ফিরতে পারবে না
করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি বাংলাদেশসহ এমন ২৩টি দেশের নাগরিকদের প্রবেশের অনুমতি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মালয়েশিয়া।
বুধবার (৪ নভেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী দাতুক সেরি ইসমাইল সাবরি ইয়াকুব ।
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারির প্রভাবে দেশটির অভিবাসন নীতি অব্যাহত থাকায় বাংলাদেশ থেকে প্রবাসী কর্মীদের এ মুহূর্তে মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
সংবাদ সম্মেলনে সাবরি ইয়াকোব আরও বলেন, ‘বিদেশিদের জন্য মালয়েশিয়ার সীমান্ত বন্ধ। সরকার বিদেশি কর্মীদের প্রবেশের অনুমতি দেবে না, যদি না তাদের অভিবাসন বিভাগের অনুমতি না থাকে।
এদিকে ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি ও মালয়েশিয়ায় ফেরার দাবিতে কয়েক হাজার প্রবাসী সোমবার (২ নভেম্বর) সকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও করেন। এর আগে রবিবার (১ নভেম্বর) মধ্যরাত রাত থেকেই তারা প্রেস ক্লাবের সামনে জড়ো হতে থাকেন। দুপুরে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে তারা তাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেন। ঘেরাওয়ের কারণে প্রেস ক্লাবের সামনের রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
মালয়েশিয়া থেকে বাংলাদেশে এসে আটকেপড়া কর্মীদের পাঠানোর বিষয়ে দেশটির সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
সেই সাথে শ্রমিকের সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার ঢাকাস্থ মালয়েশিয়ার হাইকমিশনের সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন ।
করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় গত ১৩ অক্টোবর থেকে রাজধানী কুয়ালালামপুর ও সাবাহ রাজ্যসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। এর আওতায় লোকজনের চলাচল নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বিয়ে ও খেলাধুলার অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ করা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া নিজ জেলার বাইরে যাওয়ার ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।তাছাড়া মালয়েশিয়া প্রতিদিন করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যু সংখ্যা বাড়ছে। গতকাল একদিনে ১২ জনের করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা সর্বোচ্চ রেকর্ড।
উল্লেখ্য, মালয়েশিয়ায় নতুন করে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৩২ জন। দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট ৩৫ হাজার ৪২৫ জনের শরীরে সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছেন এ পর্যন্ত ২৭১ জন।