বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জামদানি শাড়ি ছড়িয়ে দিতে চায় তানিয়া
করোনার এই দুঃসময়ে অবরুদ্ধ পুরো পৃথিবী। তাই করোনার এই অবসর সময় কাজে লাগাতে দেশের অসংখ্য নারী ইতিমধ্যে অনলাইন ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছেন। অন্যান্য ব্যবসার মতো এ ব্যবসাতেও সফলতা হাতছানি দিচ্ছে এসব নারীকে। কারণ হিসেবে অনেক অনলাইনে ব্যবসা করা নারী বলছে, দেশে অনলাইনে ব্যবসা চালু হওয়ায় অনেক ক্ষেত্রেই মানুষকে কষ্ট করে করোনার ঝুকি নিয়ে মার্কেটে যেতে হচ্ছে না।
বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নারীরাও অনলাইন ব্যবসা-বাণিজ্যে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের অসংখ্য নারী যুক্ত হয়েছেন অনলাইন ব্যবসায়। সাধারণ ব্যবসার মতো এখানেও সফলতা লাভ করে উদ্যোক্তা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে তারা।
তেমন একজন উদ্যোক্তার সফলতার গল্প বলছি আজ । তিনি হলেন একজন সংগ্রামী সফল নারী উদ্যোক্তা, বিরাজবৌ এর স্বত্ত্বাধিকারি তানিয়া সুলতানা। সফল নারী উদ্যোক্তা তানিয়া সুলতানা জানিয়েছেন, এই সফলতার পেছনে রয়েছে শ্রম ও আনন্দ সুখের অনেক কাব্য।
ময়মনসিংহ এর গৃহবধু তানিয়া সুলতানা স্বামী সন্তান সামলিয়ে অনলাইন পেজ বিরাজবৌয়ের মাধ্যমে বিক্রি করে জামদানি শাড়ি। নিজস্ব কারিগর দ্বারা তৈরিকৃত তার শাড়ি গুলোর মুল্য ৩৭০০ টাকা থেকে শুরু করে ৩৮ হাজার টাকা পর্যন্ত । শাড়ি গুলো তিনি বিভিন্ন ক্রেতাদের কথা মাথায় রেখে ইএমআই সুবিধার মাধ্যমেও বিক্রি করে থাকেন। মাত্র ১৮ হাজার টাকা পুজি নিয়ে শুরু করেন এই অনলাইন ব্যবসা। বর্তমানে তার মোট বিক্রির অর্থের পরিমান ৪ লাখ ৮ হাজার ৭ শত টাকা।
উদ্যোক্তা হওয়ার পিছনের গল্প শুনতে চাইলে তানিয়া সুলতানা জানান ‘আমার অনেকদিনের স্বপ্ন ছিলো ব্যবসা করার। কিন্তু কি করবো ভেবে পাই না। অবশেষে ই-কমার্স গ্রুপ উই এর মাধ্যমে আমি আমার লক্ষ্য স্থির করি। আসলে শুরু করাটাই ছিলো আমার কাছে চ্যালেঞ্জিং । কিভাবে শুরু করবো, কি পন্য নিয়ে কাজ করবো এই লক্ষ্য স্থির করতে পারছিলাম না।
অবশেষে ভাবলাম আমি জামদানি শাড়ি নিয়ে কাজ করবো। সেই লক্ষ্যে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এর উপন্যাস বিরাজবৌ এর চরিত্রে অনুপ্রানিত হয়ে আমি বিরাজবৌ নামে ফেসবুক পেজ খুলি এবং সেখান থেকে অনলাইনের মাধ্যমে পন্যের অর্ডার নিয়ে তা কুরিয়ারের মাধ্যমে পৌছে দেই ।‘
তানিয়া সুলতানার অনলাইন ব্যবসার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা অনলাইনেই ব্যবসা করা। আমি ট্রেড লাইসেন্সও করেছি অনলাইন ব্যবসার পরিচয় দিয়ে। আমি অনেকের স্বপ্নের শোরুম কে দুঃস্বপ্ন হতে দেখেছি। তাই আমি চাই ওয়েবসাইট খুলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও জামদানী শাড়ি ছড়িয়ে দিতে। এতে আমার স্বপ্নও ছড়িয়ে যাবে।