মালয়েশিয়ায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বাংলাদেশি সানা বিউটির প্রোডাক্ট
বাবা মা’র একমাত্র সন্তান সানা বিনতে রহমান বাংলাদেশের পুরান ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বেড়ে উঠা এখানেই। বিক্রমপুরের স্বনামধন্য মালয়েশিয়া প্রবাসী এস এম মোয়াজ্জেম হোসেন নিপু’র সাথে ২০০৫ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন সানা। বিয়ের পর তিনি প্রবাসী ব্যবসায়ী স্বামীর সঙ্গে চলে আসেন মালয়েশিয়ায়।
মালয়েশিয়ায় তিনি ইউনিভার্সিটি টেকনোলজি অফ মালয়েশিয়া ( ইউটিএম ) থেকে ২০১১ সালে ফ্যাশন ডিজাইনিং এর উপর ৩ বছর মেয়াদী (বিএসসি) ডিপ্লোমা শেষ করেন। এরপর ২০১৪ বোটানিকাল অর্গানিক স্কিন কেয়ার কনসালটেন্সির উপর দু বছর মেয়াদী আরও একটি ডিপ্লোমা করেন।
বর্তমানে সানা চৌদ্দ বছর ধরে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে থাকেন। স্বামী সন্তান সামলিয়ে সানা বিনতে রহমান মালয়েশিয়াতে ব্যবসা করেন এবং সাফল্যের দেখা পান।
সানা বিনতে রহমান একবছর ধরে ভেষজ উপাদান দিয়ে নিজেই ত্বকের জন্য তৈরী করছেন স্কিনের জন্য বিভিন্ন প্রোডাক্ট। তার তৈরীকৃত প্রোডাক্টগুলো হলোঃ হারবাল উপটান, বডি স্ক্র্যাব, বডি মাস্ক, হেয়ার ওয়েল এবং ফেস প্যাক মাস্ক। যেগুলো তিনি মালয়েশিয়াতে তার ফেসবুক পেজ সানা বিউটিতে অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি করেন।
এনটিভি অনলাইনকে সানা বলেন, ‘আমি নিজেই বিভিন্ন ভেজস উপদান দিয়ে এই স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট গুলো তৈরী করে থাকি। এগুলো আমাদের ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। আমার তৈরী স্কিনের প্রোডাক্ট গুলো ইতিমধ্যেই মালয়েশিয়াতে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। মালয়েশিয়ার বিভিন্ন জায়গা থেকে অর্ডার পাই। এছাড়াও আমি আমার ফেসবুক পেজের মাধ্যমে অনেক কেই স্কিন এডভাইস দিয়ে থাকি। আমি চাই আমার প্রোডাক্ট গুলো বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে দিতে আমি এখন সেই লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি’।
এনটিভি অনলাইনকে সানা আরো বলেন শখের বসে আমি প্রথমে এই ব্যাবসাটা করি। চিন্তা করছি প্রবাসে ঘরে বসে সময়টা যাচ্ছে না। যেহেতু এই কাজটি জানি করোনা কালীন সময়ে সানা বিউটি একটি ফেইসবুকে পেইজ খুলি। প্রোডাক্ট গুলির গুনাগুন নিয়ে ফেইসবুকে পোস্ট দিতে থাকি। অনেক প্রবাসী ভাই বোনেরা আমার তৈরী করা প্রোডাক্ট গুলি পেয়ে ব্যবহার করে উপকৃত হয়েছে।
প্রবাসীদের অনুপ্রেরণায় আমার কাজের আরো উৎসাহ পেলাম। প্রতিটি মানুষ চায় ভালো থাকুক ,সুস্থ্য থাকুক ,নিজের রূপ সোন্দর্য ধরে রাখুক। প্রবাসীদের ভালোবাসায় আরো সামনে এগিয়ে যেতে চাই। আমি মনে করি প্রবাসে প্রতিটি নারী ঘরে বসে না থেকে কিছু একটা করুক। প্রবাসীরা ভালো থাকুক সব সময় এটাই প্রত্যাশা করি।