মালয়েশিয়ায় অপহরণ, দেশে মুক্তিপণ আদায়, গ্রেফতার ৬
ভালো উপার্জনের আশায় বছর দুয়েক আগে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান চাঁদপুরের জাহাঙ্গীর মল্লিক। সেখানকার একটি বিপণিবিতানে কাজ করে আয়-রোজগারও ভালো হচ্ছিল। এর মধ্যে গত ১৮ জুন তাকে মালয়েশিয়ায় অপহরণ করা হয়। শুরু হয় নির্মম নির্যাতন। এসব ভিডিও পরিবারের সদস্যদের কাছে পাঠিয়ে মুক্তিপণ হিসেবে ১০ লাখ টাকা দাবি করে অপহরণকারীরা।দেশে অপহরণকারী চক্রের সদস্যদের মুক্তিপণের ৮ লাখ টাকা পরিশোধের পর ছেড়ে দেয়া হয় তাকে। এ ঘটনায় দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে গতকাল ছয়জনকে গ্রেফতারের পর সোমবার এসব তথ্য জানায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
সিআইডি জানায়, মালয়েশিয়া প্রবাসী জাহাঙ্গীর মল্লিককে গত ১৮ জুন অপহরণ করা হয়। এরপর ভিকটিমের বড় ভাই বাংলাদেশে অবস্থানরত আলমগীর মল্লিকের কাছে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে জাহাঙ্গীরকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। ভাইকে বাঁচাতে বিকাশে ৮ লাখ টাকা পাঠালে অপহরণকারীরা জাহাঙ্গীরকে মুক্তি দেয়। এ চক্রের মূলহোতা মালয়েশিয়া প্রবাসী চাঁদপুরের কামরুল ও তার শ্যালক রহিম সরদার। এ ঘটনায় গত ৪ জুলাই শরীয়তপুরের জাজিরা থানায় মামলা করেন ভিকটিম জাহাঙ্গীরের ভাই আলমগীর। এ মামলায় চক্রের বাংলাদেশী ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সিআইডির সিনিয়র এএসপি (মিডিয়া) জিসানুল হক। তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃত ছয়জন একটি সংঘবদ্ধ অপহরণকারী চক্রের সদস্য। দীর্ঘদিন ধরে এ চক্রের মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত সদস্যরা মালয়েশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশীদের অপহরণপূর্বক আটক রেখে মারধর করার ভিডিও বাংলাদেশী স্বজনদের দেখিয়ে মোটা অংকের মুক্তিপণ দাবি করে। গ্রেফতারকৃত বাংলাদেশী সহযোগীরা দেশে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ও ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে এ টাকা নিত।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন রাসেল খন্দকার, শাহানাজ বেগম, সুমন ভূঁইয়া, বেলাল বিন কারী, আরিফ হোসেন ও জাবেদ হোসেন। গত রোববার দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।