বিদেশি পর্যটকদের জন্য সীমান্ত খুলে দিচ্ছে মালয়েশিয়া
বিদেশি পর্যটকদের জন্য জানুয়ারি থেকে নিজেদের সীমান্ত খুলে দিচ্ছে মালয়েশিয়া।
বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) দেশটির সরকারি পরামর্শক কমিটি এই তথ্য জানিয়েছে। পর্যটন খাতের সংকট নিরসনে পহেলা জানুয়ারি থেকেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে পারে দেশটি। এরই মধ্যে অর্ধেকের বেশি নাগরিককে টিকার আওতায় এনেছে মালয়েশিয়া। করোনা সংক্রমণ কমে আসায় ধীরে ধীরে দেশটিতে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটছে। তবে পর্যটকদের ছাড়া অর্থনীতির গতি স্তিমিত হয়ে আসায় সীমান্ত খুলে দিচ্ছে দেশটি।
মালয়েশিয়ার অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে দ্রুতগতিতে এগিয়ে নিতে এমন পদক্ষেপ নিয়েছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী মুহিউদ্দিন ইয়াসিনের খানের নেতৃত্বাধীন কমিটি। তিনি বলেন, ভ্রমণে শিথিলতা আনা হলেও করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা আগের মতোই থাকছে। কোভিড-১৯ পরিস্থিতি এবং অন্যান্য বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে প্রবেশাধিকার নির্ধারণ করবে কর্তৃপক্ষ।
এদিকে করোনা নিয়ন্ত্রণে মালয়েশিয়াজুড়ে টিকা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। করোনার সংক্রমণের কারণে বন্ধ থাকা সবকিছু কবে খুলে দেয়া হবে, তা জানাননি তিনি। তবে এ বিষয়ে স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিভাগ সিদ্ধান্ত নেবে বলেও মন্তব্য করেন মুহিউদ্দিন।
এর আগে গত ২২শে অক্টোবর করোনার কারণে প্রায় ১৬ মাস বন্ধ থাকার পর বিদেশি শ্রমিকদের জন্য নিজেদের সীমানা খুলে দেয়ার ঘোষণা দেয় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল সাবরি। তিনি বলেন, মহামারি ব্যবস্থাপনা টাস্কফোর্স এই সিদ্ধান্তে সম্মতি দিয়েছে। স্পেশাল কমিটি অব প্যানডেমিক ম্যানেজমেন্ট বিদেশি শ্রমিকদের মালয়েশিয়ায় প্রবেশের ক্ষেত্রে, বিশেষ করে গাছ লাগানোর কাজের জন্য একটি পদ্ধতির বিষয়ে আজ সম্মতি দিয়েছে। অবশ্য অন্যান্য শিল্পের কাজের সঙ্গে যারা জড়িত সেসব প্রবাসী শ্রমিকের কোটা এবং তাদের প্রবেশের তারিখ নির্ধারণের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আইফোনের বিভিন্ন যন্ত্রাংশসহ পাম ওয়েল ও রাবার গ্লাভস উৎপাদনের জন্য দেশটি বিদেশি শ্রমিকদের উপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। পাশাপাশি লঙ্কাউই দ্বীপে কিছু সংখ্যক পর্যটকদেরও প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে দেশটি। নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হতে পারে।